ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:১৩:০৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

তারেক রহমান পাসপোর্ট পাবেন না, দেশে ফিরতে পারবেন : ডিজি পাসপোর্ট অধিদপ্তর

| ১৩ বৈশাখ ১৪২৫ | Thursday, April 26, 2018

 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মেয়াদ শেষে বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে দিলেও দূতাবাসের মাধ্যমে ট্রাভেল পাস (ভ্রমণ ভিসা) নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ (ডিআইপি)।

‘বর্তমানে তারেক রহমান বাংলাদেশি পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন’-এমন তথ্য জানিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘তারেক রহমান ২০০৮ সালে যখন বিদেশ যান, তখন হাতে লেখা পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তার পরে আর মেয়াদ বৃদ্ধি করেননি।’‘এরপর তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের এমবাসিতে পাসপোর্ট জমা দেন। তারপর সেটা আমাদের হাতে আসে। সুতরাং তিনি এখন বাংলাদেশি পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পাসপোর্ট নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

এ আলোচনার সূত্রপাত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গত রোববার লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম জানান, চার বছর আগেই পাসপোর্ট হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান। তিনি আরো জানান, ব্রিটিশ হোম অফিস ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠিয়ে দেয়। ফলে এখন বাংলাদেশ ভ্রমণের আইনি কোনো কাগজপত্র তাঁদের কাছে নেই।
পরে শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য খণ্ডন করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন বরেণ্য রাজনীতিকের মতো তাঁর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং তিনি সেটা পেয়েছেন।’

তারেক রহমান সুস্থ হলে এবং দেশে আসতে চাইলে তিনি আবার পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করবেন। সেটি তিনি করতে পারবেন। সুতরাং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, তা মোটেও সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তারেক রহমানের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্বের বিষয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। কারণ এ চিঠিতে ১৩টি মারাত্মক ভুল আছে, যা ব্রিটিশরা কোনোভাবেই করতে পারেন না।’

এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন আবেদন করলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পাসপোর্ট পাবেন না। তবে তিনি চাইলে ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাসপোর্ট না পাওয়ার বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী, যেকোনো আবেদনকারী দরখাস্ত করার তারিখ থেকে তার আগের পাঁচ বছরের মধ্য যদি সে দুই বছরের জন্য যদি দণ্ডিত হয়ে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁকে পাসপোর্ট দেবো না।’

‘এ ছাড়া কোনো আবেদনকারী যদি বাংলাদেশে কোনো ফৌজদারি আদালতে বিচারাধীন মামলার ক্ষেত্রে হাজিরা দিচ্ছেন না কিংবা হাজিরা না দেওয়ার চেষ্টা করেন অথবা আদলত থেকে বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর ইনজাংশন জারি করা হয়; তাহলেও আমরা তাঁকে পাসপোর্ট দিতে পারব না। তবে কোনো আসামি যদি সাজা পাওয়ার আগেই পাসপোর্ট নিয়ে নেন, তাহলে তাঁর পাসপোর্ট ফেরত নেওয়া হয় না। কিন্তু তাঁকে দেশের বাইরে যেতেও দেওয়া হবে না।’

তবে পাসপোর্টের সঙ্গে দেশের নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।