ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:১৪:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ঢাকায় শিক্ষকদের আমরণ অনশন:বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবি

| ১০ পৌষ ১৪২৪ | Sunday, December 24, 2017

ঢাকায় শিক্ষকদের আমরণ অনশন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন চান সহকারী শিক্ষকরা। কিন্তু তাঁরা বেতন পাচ্ছেন তিন ধাপ নিচে।

এই বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। গতকাল শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ব্যানারে এই অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবির ব্যাপারে কোনো দ্রুত ঘোষণা না এলে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং বই উৎসবে অংশ না নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।গতকাল সকালে মহাজোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা। এরপর দুপুর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষকরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনশন শুরু করেন। অনেকে কাফনের কাপড়ও পরে এসেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেশির ভাগ শিক্ষকই শহীদ মিনারে অবস্থান করছিলেন। আজ রবিবার অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

শিক্ষকরা বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের

বেতন স্কেলে এক ধাপ পার্থক্য ছিল।

২০০৬ সালে এসে দুই ধাপ পার্থক্য তৈরি হয়। এরপর ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হলে তিন ধাপ পার্থক্য তৈরি হয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডেই পড়ে রয়েছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘আমাদের একমাত্র দাবি, প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে আমরা বেতন চাই। এ দাবিতে আমরা এর আগে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনাও করেছি; কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শহীদ মিনার থেকে যাব না। ‘

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল-আমিন বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে হাজার হাজার শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন। দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়া গেলে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কেবলই নিচের গ্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা যদি দশম গ্রেড হয় আমরা এগারোতে থাকব। ওরা এগারো হলে আমরা বারোতে। অথচ আমাদের বেতন গ্রেডে তিন ধাপ ফারাক। এই তথ্য হয়তো প্রধানমন্ত্রীও জানেন না। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর করা স্কেল ফেরত চাই। ‘