গত ২৯মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঢাকাস্থ দয়াগঞ্জ শিব মন্দিরে সনাতনী যুব সম্মেলন- ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাডঃ উত্তরা চৌধুরর আহ্বানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ও স্থানীয় যুবকগনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশগ্রহন করে। উক্ত অনুষ্ঠিনে অ্যাডঃ উত্তরা চৌধুরীর সভাপতিত্ব উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার,ওমেন সেক্রেটারী রাধা রানী দাস
উনুষ্ঠানে হিন্দু স্বার্থে বেশকিছু হিন্দু সংগঠন একটি প্লাটফর্মে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করার অঙ্গীকার করেন । বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পরামর্শ মূলক বক্তব্য প্রদান করেন উনুষ্ঠানের মূল পতিপাদ্য ছিল “what to do ? How to do? “ উক্ত উনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন সমস্যা অনেক আছে তার থেকে প্রধান সমস্যা গুলিকে চিহ্নিত করে তা নিরশনে সকলে একত্রিত হয়ে যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তাৎক্ষনিক সেবা দিতে হিন্দুদের জন্য এখন জরুরীভাবে দরকার একটি কল সেন্টার ও সেবা কম্পপ্রেক্স এবং তা দ্রুত গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের আহ্ব্বয়ক অ্যাডঃ উত্তরা চৌধুরী বলেন বাংলাদেশে এই প্রথম সনাতনী যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল । সকল ভেদাভেদ, মতের অমিল দুর করে, সময় ও নিজ অর্থ ব্যয় করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে দূর দুরান্ত থেকে এসে যে সকল সংঘটন বা ব্যাক্তি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মতে তারা পদ ও অর্থ লোভহীন প্রকৃত সনাতনী যোদ্ধা। তারাই পারবে এ এদেশে একতাবদ্ধ হয়ে সনাতনী সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে। আর এও সত্যি সময় ও সুযোগের অভাবে দেশের নানা প্রান্তে থাকা আরো অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্তেও আসতে পারে নাই তবে সবাই তাদের মানসিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন আমাদের। আমার মনে হয় এভাবে দল মত নির্বিশেষে সবাই সহযোদ্ধা হয়ে একসাথে কাজ করলে আগামী দশ বছরে একটা সুফল আসবেই আসবে, তাই সবার কাছে অনুরোধ এই সম্মেলন যেন ইটিং, মিটিং, সিটিং এ শেষ হয়ে না যায়। সবার থেকে পাওয়া সমস্যাগুলি নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্তে এসে পথচলা শুরু হউক এই ১৯ থেকেই । কথা নয় কাজ এই স্লোগান সামনে রেখে চল সবাই পথ চলি। এ বিষয়ে সবার আরো মতামত চান।