ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম পিছিয়েছেন আদালত। আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার আসামি প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদের পক্ষে হাইকোর্ট মামলাটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৫ সালের ১৪ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে একই আদালতে জবাব দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি।
শুরুতে খালেদা জিয়াসহ চারজন মামলার বিবাদী ছিলেন না। কোকোর মৃত্যুর কারণে ইসলামী শরিয়াহ আইনের বিধান অনুযায়ী উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁরা বিবাদীভুক্ত হন। পরে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ আদালত তাঁদের বিবাদীভুক্ত করেন।
এর আগে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার জন্য ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে মামলা করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদন করা ঋণ মঞ্জুর করে।
এরপর ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করে। এরপর বিবাদীদের আবেদন অনুযায়ী ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে ক্রমাগত কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
এ ছাড়া আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।
এ মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন ড্যান্ডি ডাইং লিমিডেট, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।