ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের তরুণদের উৎসাহ- উদ্দীপনার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রতিদিন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের স্থপতি। বর্তমান সরকার সবসময়ই তরুণদের জন্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সরকার তরুণদের অসাধারণ সব ধারণার মাধ্যমে ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নিয়ে তরুণদের মাঝে স্টার্ট-আপ সংস্কৃতি ছড়িয়ে উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউএনডিপির সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থকবে।’
‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ’ ২০১৭-এর তিন দিনব্যাপী চূড়ান্ত ইভেন্টের পর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের একটিং কান্ট্রি ডিরেক্টর কিওকো ইয়োকোসুকা এবং রাজনৈতিক সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা শীলা তাসনীম হক অনুষ্টানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিজয়ী তিনটি দলকে জনতা টাওয়ারে কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দের ঘোষণা দেন এবং বিজয়ী দলসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দলকে আইসিটি ডিভিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্পেও জমা দিতে বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কিওকো ইয়োকো সুকা ইভেন্টের সমাপণী বক্তব্যে বলেন, ‘তারুণ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ একটি তরুণ দেশ। ইউএনডিপি এই বৃহৎ তরুণ জনসংখ্যাকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদানে আগ্রহী, আমাদের বিশ্বাস এটি দেশের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে তাদেরকে সাহায্য করবে।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বছরের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ’ ২০১৭। আসলে একটি তিন দিনের আইডিয়া ল্যাব যা গত সোমবার বিজয়ী তিনটি আইডিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
বহুমাত্রিক বাংলাদেশের মানুষের বৈচিত্রময় ও শান্তিপূর্ণ রূপটিকে ধরে রাখার সৃজনশীল আইডিয়া প্রদানের জন্য এই চ্যালেঞ্জের বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করে বিশেষ বিচারকবৃন্দ। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন, ফেসবুক ও মাইক্রোসফট সহযোগিতায় ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ’ ২০১৭ আয়োজন করে ইউএনডিপি।
এক্সপার্টদের সহযোগিতায় ও নির্দেশনায় পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ী তিনটি দল পুরস্কার হিসেবে ৫হাজার মার্কিন ডলার লাভ করে।
বৈচিত্র্যের এই ঐক্যকে আরো শক্তিশালী করার জন্য তিন দিনের ইভেন্টে ৩০ জন প্রতিযোগী ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনাগুলো উন্নয়নে কাজ করে। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার তরুণদের মিলিত দলগুলো প্রতিযোগিতায় সীমিত সময়ের মধ্যে তাদের সৃজনশীল সমাধানগুলো বের করে আনে।
তিন দিনের আইডিয়া নির্বাচন, প্রস্তুতি ও সমস্যা সমাধানের পর তিনটি আইডিয়া বাস্তবায়নের সম্ভাবনার ভিত্তিতে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তরুণদের রাগ ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য তাদের সমস্যাগুলো শোনার জন্য ‘অনুবট’ নামের একটি স্বয়ংক্রিয় অনলাইন মেসেঞ্জারের এপ্লিকশনের আইডিয়া দেয়ার জন্য এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘বনসাই’। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আইডিয়া দিয়ে প্রথম রানার আপ হয়েছে টিম ‘জাগরণ’ আর আইসিটি দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়নের আইডিয়া দিয়ে টিম ‘সেই তারা’ হয়েছে দ্বিতীয় রানার আপ।