ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:৫৪:০০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

জেএমবি’র হাত ধরে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যায় তরুণ তরুণীরা

| ১৩ কার্তিক ১৪২১ | Tuesday, October 28, 2014

জেএমবি'র হাত ধরে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যায় তরুণ তরুণীরা

শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সক্রিয় রয়েছে ৬৫টি জঙ্গি সংগঠন। ওই রাজ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া জেএমবির অনেক শীর্ষ নেতা। সেখান থেকেই কষা হয় বাংলাদেশে নাশকতার ছক এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশে আসে জঙ্গি ও বিস্ফোরক। শুধু তাই নয়, জামায়াতের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যায় তরুণ তরুণীরা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

অভিন্ন ইসলামি রাষ্ট্রগঠনের ডাক দিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের এই আহ্বানে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে ইউরোপের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী।

ভারত থেকেও কি প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা যোগ দিয়েছে আইএসে? গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রতিবেদন সেই আতঙ্ক আবারও উস্কে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার জামাআ’তুল মুজাহিদিন সদস্যদের জেরায় জানা গেছে গত কয়েকমাসে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো প্রশিক্ষিত জঙ্গি যোগ দিয়েছে আইএসে। বর্ধমানে জঙ্গিযোগের ব্যপ্তি জামাআতুল মুজাহিদিনকে ছাড়িয়েও অনেকদূর বিস্তৃত। অন্তর্বর্তী রিপোর্টে ইতিমধ্যেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এনআইএ।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন সূত্র থেকে যে তথ্য পৌছেছে এতেও বিশাল এক জঙ্গি নেটওয়ার্কের ইঙ্গিত রয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় সাত জামাআতুল মুজাহিদিন সদস্য। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামাতুলের কার্যনির্বাহী প্রধান আবদুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদও রয়েছে। এই তাসনিমকে জেরা করেই সামনে এসেছে ভারতে জামায়াতের অবস্থান।

জানা গেছে, ২০১০ থেকেই ভারতের মাটিকে কাজে লাগিয়ে সংগঠিত হতে শুরু করে জামাআতুল মুজাহিদিন।

২০১০ সালে ১০ জন সক্রিয় জামায়াত সদস্যকে দিয়ে রাজ্যে তৈরি হয়েছিল দুটি জামায়াত সংগঠন। সংগঠন দুটি তৈরিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেয় জামায়াতের সর্বোচ্চ কমিটি সুরার সদস্য আনিসুর ও মোফাজ্জল হুসেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১০০ জামায়াত কর্মী সমর্থক সীমান্ত পেরিয়ে এরাজ্যে ঢুকেছে। চার বছরে পশ্চিমবঙ্গে জামায়াতের সংগঠনের সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫টি।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, পশ্চিম এশিয়া থেকে হাওয়ালা মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসে জেহাদি অর্থ। এই হাওয়ালা চক্রে যুক্ত কুয়েতের একটি এবং সৌদি আরবের দুটি এনজিও।

সংগঠনগুলোর মূল কাজ বাংলাদেশে নাশকতা চালাতে বিস্ফোরক ও প্রশিক্ষিত জঙ্গির সরবরাহ দেওয়া। শুধু তাই নয় গোয়েন্দা তথ্য মতে, ভারত থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় বাংলাদেশে জামায়াতের জঙ্গিগোষ্ঠী।

জামাআতুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সোহেল মেহফুজ ভারতে বসেই বাংলাদেশের সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে এসে সোহেলের সঙ্গে যোগ দেয় জহিদুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন।

তদন্তে জানা যায়, বাংলাদেশের একাধিক স্থানে একযোগে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল জামায়াত। নিশানায় ছিলেন কয়েকজন ভিভিটিআইপি-ও। সেজন্য বাড়তি বিস্ফোরকের বরাতও এসেছিল খাগড়াগড়ের মতো গ্রেনেড কারখানাগুলোতে।

তদন্ত জানা গেছে, শিমুলিয়ার অনুমোদনহীন মাদ্রাসা থেকেই ইতিমধ্যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে প্রায় একশ’ কিশোরী। রাজ্যের অন্যান্য প্রশিক্ষণ শিবিরের হিসেব ধরলে সংখ্যাটি বেশ কয়েকশো ছাড়িয়ে যায়।

আবার বাংলাদেশের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, গত কয়েকমাসে দুদেশ থেকে কয়েকশো প্রশিক্ষিত জঙ্গি আইএসে যোগ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল দিল্লিকে। পশ্চিমবঙ্গেও এসেছিলো সেই সতর্কবার্তা।