ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:২১:২৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি জ্যেষ্ঠ দুই আইনজীবীকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

| ২১ পৌষ ১৪২৪ | Thursday, January 4, 2018

ড. কামাল হোসেন ও এম আমীর-উল ইসলামড. কামাল হোসেন ও এম আমীর-উল ইসলামঅধস্তন আদালতের বিচারক নিয়োগ ও বদলির বিধিমালা সম্পর্কে দেশের ছয়জন বিশিষ্ট আইনজীবীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও এম আমীর-উল ইসলামকে মাসদার হোসেন মামলার পরিচালনা (ওকালতনামা) থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল বুধবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে গত সোমবার বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, মইনুল হোসেন, এ এফ হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামাল গণমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, দীর্ঘ কালক্ষেপণের পর অধস্তন আদালতের বিচারক নিয়োগ ও বদলির বিধিমালা এমন একটি সময়ে করা হয়েছে, যখন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থবহ পরামর্শ ছাড়া এটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অধস্তন আদালতকে ১৯৯৯ সালের আগের যুগে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলেছে, ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুসরণ করে করা বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা অধস্তন আদালতের বিচারকদের কাছে সংবিধানসম্মত ছিল না। ড. কামাল হোসেন, মইনুল হোসেন ও এ এফ হাসান আরিফ বিভিন্ন সময়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী-উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁরাও অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা প্রণয়নের পদক্ষেপ নেননি। অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ছয় আইনজীবী মাসদার হোসেন মামলাকে রাজনীতিকীকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রণীত বিধিমালা গ্রহণ করেছেন এবং এ নিয়ে কোনো অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গতকাল মাসদার হোসেন মামলার শুনানিকালে আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম অধস্তন আদালতের বিচারকদের স্বার্থবিরোধী বক্তব্য আপিল বিভাগে উপস্থাপন করায় এবং তাঁর বক্তব্য আদালতে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন তাঁর নেতিবাচক বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য গেজেট আকারে প্রকাশিত বিধিমালার বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার জন্য ছয় আইনজীবীসহ সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।