ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০২:৪৮:০৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কী এবং এর কার্যক্রম

| ৩০ আশ্বিন ১৪২১ | Wednesday, October 15, 2014

মানবাধিকার রক্ষা এবং তার উন্নয়নের প্রধান দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তার প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইন প্রনয়ণ বিভাগের মাধ্যমে জনগণের মানবাধিকার রক্ষা কাজ করে। বর্তমান বিশ্বে একটি রাষ্ট্র কতটা সভ্য তা পরিমাপ করা হয় ওই রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র নিজ নিজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে রাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গঠন করে। রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত হলেও জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাধীনভাবে কাজ করে। তারা দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং যথাযথ পর্যালোচনা শেষে এ বিষয়ের সুপারিশ প্রদান করে। এজন্য জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে মূলত ‘পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এধরণের প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিষয়ের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সরকারকে মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করে। দেশে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
বাংলাদেশের একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৯৮ সালে। সে সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি)-এর সহায়তায় একটি আইনের খসড়াও তৈরী করা হয়। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে আর তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০০৭ এর মাধমে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। একজন চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্যকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে অধ্যাদেশকে বৈধতা না দিয়ে এরপর জাতীয় সংসদ ২০০৯ সালের ২২ জুন একজন চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং অন্য পাঁচ অবৈতনিক সদস্য নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে সাত সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কমিশন পুনর্গঠিত হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার যথেষ্ঠ ব্যাপক। বাংলাদেশ সংবিধান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিসমূহ যেগুলো বাংলাদেশের পক্ষভূক্ত সেগুলো থেকে এই এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় বলা হয়েছে-যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য, তাই মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কমিশনের প্রধান প্রধান এখতিয়ার সমূহ হচ্ছে-
ক্স    কমিশন যে কোন ধরণের মানবাধিকার লংঘনজনিত অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে।
ক্স    কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা না হলেও কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
ক্স    জেলখানা, থানা হেফাজত ইত্যাদি আটকের স্থান পরিদর্শণ করে সেসবের উন্নয়নে সরকারকে সুপারিশ প্রদান।
ক্স    সংবিধান অথবা দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ পর্যালোচনা করে এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সুপারিশ করবে।
ক্স    মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল বিষয়ে গবেষণা করা এবং সেগুলো বান্তবায়নের জন্য সরকারকে সুপারিশ প্রদান।
ক্স    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে দেশীয় আইনের সামঞ্জস্য বিধানের ভূমিকা রাখা।
ক্স    মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা।
ক্স    আপোষের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য কোন অভিযোগ মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
ক্স    মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ অন্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

কমিশনের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম
পুনর্গঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দায়িত্ব নেবার পরপরই প্রথম যে কাজ হাতে নেয় তা হচ্ছে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কৌশলপত্র প্রনয়ণ করা। মানবাধিকার কমিশন বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যতিসম্পন্ন একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তায় কৌশলপত্রটির খসড়া তৈরী করা হয়। খসড়া কৌশলপত্রে ১৬টি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যূ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কৌশলপত্রটি চুড়ান্ত করার পূর্বে এর ওপর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহের জন্য ডিসেম্বর ২০১০ থেকে মার্চ ২০১১ এর মধ্যে ১০টি মতবিনিময় কর্মশালা আয়োজন করে। ঢাকা ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে কৌশলপত্রটি চুড়ান্ত করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী একটি আঞ্চলিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিসহ জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দু’দিনের এ সেমিনারে এ অঞ্চলের মানবাধিকার কমিশনসমূহের কাজের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন কারাগার, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশুসদন পরিদর্শণ করেন এবং এসব স্থানে বিদ্যমান অনিয়মসমূহ দূরীকরণে সরকারের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সংশি−ষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর ফলে অনেকগুলো ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের

কে অভিযোগ করতে পারে?
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নারী, পুরুষ সহ যে কোন বয়সের দেশী বা বিদেশী যে কোন ব্যক্তি কমিশনের অভিযোগ করতে পারেন। অর্থাৎ গ্রামের বা শহরের, সমতল বা পাহাড়ী জনগোষ্ঠী, ধনী, গরীব, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষিত অথবা যেকেই কমিশনে অভিযোগ করতে পারবেন। অবস্থা বিবেচনায় কমিশনও স্ব-উদ্যোগে অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে।

কী ধরণের অভিযোগ করা যায়?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে দ্বিতীয় ও ততৃীয়ভাগে যে অধিকারগুলি সকল নাগরিককে দেয়া হয়েছে, তার লংঘনের আশংকা তৈরী হলে বা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বর্ণিত অধিকারসমূহে লংঘিত হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করা যায়। কেই যদি মনে করেন যে, মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে তাঁর জীবন, সমতা ও মর্যাদার যে অধিকার পাওনা আছে, তা ক্ষুন্ন হয়েছে কিংবা ক্ষুন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় বা সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন বা কোন জনসেবক কর্তৃক মানবাধিকার (জীবন, সমতা ও মর্যাদা সংক্রান্ত অধিকার) লংঘন করা হয়েছে বা লংঘনের প্ররোচনা দেয়া হয়েছে বা এই সব অধিকার লংঘন প্রতিরোধ অবহেলা করা হয়েছে তাহলে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করা যায়।

কীভাবে অভিযোগ দাখিল করবেন?
কশিশনের নির্ধারিত ফরমে অথবা সাদা কাগজে হাতে লিখে বা টাইপ করে, কমিশনের অফিসে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা ডাক/কুরিয়ার মারফত, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পাঠানো যায়। অভিযোগের সাথে অন্যান্য কাগজপত্র, ছবি, অডিও-ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি সংযুক্ত করা যেতে পারে।

মনে রাখবেন…
১.    কমিশন অভিযোগকারীর বা অভিযুক্ত কারো পক্ষে নয়, বরং নিরপেক্ষভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে উভয়ের জন্যই কাজ করে।
২.    অভিযোগ করা বা অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নেয়া, অভিযোগ করার আগে পরামর্শ করা ইত্যাদির জন্য কোন খরচ করার প্রয়োজন হয় না।
৩.    কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগরিকের মর্যাদা, সম্মান, সমতা ইত্যাদির অধিকার লংঘন করতে না পারে তার  প্রতি লক্ষ্যে রেখে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ঘটানো।

অভিযোগ দাখিলের জন্য যোগাযোগ
যে কোন দিন সশরীরে এসে অথবা কমিশনের অফিসের প্রবেশ পথে “অভিযোগ বাক্স” -এ অভিযোগ জমা দেয়া যাবে
অথবা
ইন্টানেটে: http://complaint.nhrc.org.bd/
অথবা
ই-মেইলে: nhrc.bd@gmail.com
অথবা
ফ্যা∙ : +৮৮-০২-৮৩৩৩২১৯
অথবা
ডাকযোগে:
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
গুলফেঁশা প−াজা (১১ তলা),
৮, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভিন সড়ক,
মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
ফোন: +৮৮-০২-৮৩৩১৪৯২

এসএমএ হাসনাত, বি,এস,এস (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা), এম, এস, এস (রাবি), সম্পাদক, মহাকালগড় বার্তা ডট কম (www.mohakalgarhbarta.com)। ই-মেইল:smahasnat@gmail.com

RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb Kx I wK K‡i

GmGgG nvmbvZ

 

gvbevwaKvi i¶v Ges Zvi Dbœq‡bi cÖavb `vwqZ¡ iv‡óªi| ivóª Zvi cÖkvmb, wePvi wefvM I AvBb cÖbqY wefv‡Mi gva¨‡g RbM‡Yi gvbevwaKvi i¶v KvR K‡i| eZ©gvb we‡k¦ GKwU ivóª KZUv mf¨ Zv cwigvc Kiv nq IB iv‡óªi gvbevwaKvi cwiw¯’wZ g~j¨vq‡bi gva¨‡g| GRb¨ we‡k¦i wewfbœ ivóª wbR wbR †`‡ki gvbevwaKvi cwiw¯’wZi Dbœq‡b ivóª‡K cÖ‡qvRbxq mycvwik cÖ`v‡bi RvZxq gvbevwaKvi cÖwZôvb MVb K‡i| ivóª KZ…©K MwVZ n‡jI RvZxq gvbevwaKvi cÖwZôvbmg~n ¯^vaxbfv‡e KvR K‡i| Zviv †`‡ki mvwe©K gvbevwaKvi cwiw¯’wZ ch©‡e¶Y K‡i Ges h_vh_ ch©v‡jvPbv †k‡l G wel‡qi mycvwik cÖ`vb K‡i| GRb¨ RvZxq gvbevwaKvi cÖwZôvbmg~n‡K g~jZ Ôcivgk© cÖ`vbKvix cÖwZôvbÕ wn‡m‡e AwfwnZ Kiv nq| Gai‡Yi cÖwZôvb wewfbœ wel‡qi wbR¯^ ch©‡e¶‡Yi gva¨‡g miKvi‡K gvbevwaKvi cwiw¯’wZ cÖ‡qvRbxq mycvwik cÖ`vb K‡i| †`‡k G ai‡Yi cÖwZôv‡bi ¸i“Z¡ w`b w`b e„w× cv‡”Q|

evsjv‡`‡k RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb

evsjv‡`‡ki GKwU RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb MV‡bi cÖ_g D‡`¨vM †bqv nq 1998 mv‡j| †m mgq RvwZmsN Dbœqb Kg©m~Px (BDGbwWwc)-Gi mnvqZvq GKwU AvB‡bi LmovI ˆZix Kiv nq| wKš‘ Gici `xN© mgq G wel‡q Avi †Zgb †Kvb AMÖMwZ nqwb| Ae‡k‡l RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb Aa¨v‡`k 2007 Gi gva‡g 2008 mv‡ji 1 †m‡Þ¤^i cÖ_g GKwU RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb cÖwZwôZ nq| GKRb †Pqvig¨vb I `yÕRb m`m¨‡K wb‡qvM †`qvi gva¨‡g 2008 mv‡ji 1 wW‡m¤^i G Kwgk‡bi Kvh©µg ïi“ K‡i| cieZ©x‡Z Aa¨v‡`k‡K ˆeaZv bv w`‡q Gici RvZxq msm` 2009 mv‡ji 22 Ryb GKRb †Pqvig¨vb, GKRb mve©¶wYK m`m¨ Ges Ab¨ cuvP A‰eZwbK m`m¨ wb‡qvM †`qvi gva¨‡g mvZ m`m¨ wewkó gvbevwaKvi Kwgkb cybM©wVZ nq|

 RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi GLwZqvi

RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi GLwZqvi h‡_ô e¨vcK| evsjv‡`k msweavb, RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb AvBb Ges AvšÍR©vwZK gvbevwaKvi Pzw³mg~n †h¸‡jv evsjv‡`‡ki c¶f~³ †m¸‡jv †_‡K GB GLwZqvi †`qv n‡q‡Q| RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi f~wgKvq ejv n‡q‡Q-†h‡nZz msweavb Abyhvqx gvbevwaKvi msi¶Y, Dbœqb I wbwðZ Kiv iv‡óªi g~j j¶¨, ZvB gvbevwaKvi msi¶Y, Dbœqb Ges Zv wbwðZ Kivi †¶‡Î Kwgk‡bi cÖavb cÖavb GLwZqvi mg~n n‡”Q-

·        Kwgkb †h †Kvb ai‡Yi gvbevwaKvi jsNbRwbZ Awf‡hv‡Mi Z`šÍ Ki‡Z cvi‡e|

·        Kwgk‡b Awf‡hvM `v‡qi Kiv bv n‡jI Kwgkb ¯^ZtcÖ‡Yvw`Z n‡q Awf‡hvM MÖnY Ki‡Z cvi‡e|

·        †RjLvbv, _vbv †ndvRZ BZ¨vw` AvU‡Ki ¯’vb cwi`k©Y K‡i †mm‡ei Dbœq‡b miKvi‡K mycvwik cÖ`vb|

·        msweavb A_ev †`‡ki cÖPwjZ AvB‡bi AvIZvq M„nxZ e¨e¯’vmg~n ch©v‡jvPbv K‡i Gi Kvh©Ki ev¯Íevq‡bi Rb¨ miKvi‡K mycvwik Ki‡e|

·        gvbevwaKvi welqK wewfbœ AvšÍR©vwZK `wjj wel‡q M‡elYv Kiv Ges †m¸‡jv evšÍevq‡bi Rb¨ miKvi‡K mycvwik cÖ`vb|

·        AvšÍR©vwZK gvbevwaKvi AvB‡bi m‡½ †`kxq AvB‡bi mvgÄm¨ weav‡bi f~wgKv ivLv|

·        gvbevwaKvi wel‡q M‡elYv cwiPvjbv|

·        Av‡cv‡li gva¨‡g wb®úwˇhvM¨ †Kvb Awf‡hvM ga¨¯’Zv I mg‡SvZvi gva¨‡g wb®úwË Kiv|

·        gvbevwaKvi msi¶Y wel‡q AvBb cÖ‡qvMKvix ms¯’vi m`m¨mn Ab¨‡`i cÖwk¶Y cÖ`vb|

 

Kwgk‡bi mv¤úªwZK wKQz Kvh©µg

cybM©wVZ RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb `vwqZ¡ †bevi ciciB cÖ_g †h KvR nv‡Z †bq Zv n‡”Q cuvP eQi ‡gqv`x GKwU †KŠkjcÎ cÖbqY Kiv| gvbevwaKvi Kwgkb wel‡q AvšÍR©vwZKfv‡e L¨wZm¤úbœ GKRb we‡kl‡Ái mnvqZvq †KŠkjcÎwUi Lmov ˆZix Kiv nq| Lmov †KŠkjc‡Î 16wU welq‡K ¸i“Z¡c~Y© gvbevwaKvi Bm~¨ wn‡m‡e wPwýZ Kiv nq| †KŠkjcÎwU PyovšÍ Kivi c~‡e© Gi Ici wewfbœ †kªYx-†ckvi gvby‡li gZvgZ msMÖ‡ni Rb¨ wW‡m¤^i 2010 †_‡K gvP© 2011 Gi g‡a¨ 10wU gZwewbgq Kg©kvjv Av‡qvRb K‡i| XvKv I wewfbœ wefvMxq kn‡i AbywôZ Kg©kvjvq cÖvß gZvg‡Zi wfwˇZ †KŠkjcÎwU PyovšÍ Kiv nq|

2010 mv‡ji b‡f¤^‡i RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi D‡`¨v‡M `yÕw`be¨vcx GKwU AvÂwjK †mwgbvi AbywôZ nq| G‡Z wewfbœ †`‡ki gvbevwaKvi Kwgk‡bi cÖwZwbwamn RvwZmsN I Ab¨vb¨ AvšÍR©vwZK ms¯’vi cÖwZwbwa Dcw¯’Z wQ‡jb| `yÕw`‡bi G †mwgbv‡i G A‡ji gvbevwaKvi Kwgkbmg~‡ni Kv‡Ri AwfÁZv Ges wewfbœ †¶‡Î cvi®úwiK mn‡hvwMZvi welq wb‡q Av‡jvPbv nq|

RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi †Pqvig¨vb, m`m¨e„›` I Kg©KZ©ve„›` wewfbœ KvivMvi, nvmcvZvj, wk¶vcÖwZôvb, wkïm`b cwi`k©Y K‡ib Ges Gme ¯’v‡b we`¨gvb Awbqgmg~n `~ixKi‡Y miKv‡ii cÖ‡qvRbxq mycvwik K‡ib|

RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi c¶ †_‡K wewfbœ Bmy¨‡Z cÖ‡qvRbxq c`‡¶c MÖn‡Yi Aby‡iva Rvwb‡q mswk−ô KZ©„c¶‡K wPwV cvVv‡bvi d‡j A‡bK¸‡jv NUbvq `ª“Z c`‡¶c †bqv n‡q‡Q|

RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡bi †Pqvig¨vb, m`m¨e„›` I Kg©KZ©ve„›` wewfbœ AvšÍR©vwZK †dviv‡g AskMÖnY K‡i ¸i“Z¡c~Y© f‚wgKv †i‡L‡Qb|

 RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡b Awf‡hvM `v‡qi

 †K Awf‡hvM Ki‡Z cv‡i?

RvwZ, ag©, eY© wbwe©‡k‡l bvix, cyi“l mn †h †Kvb eq‡mi †`kx ev we‡`kx †h †Kvb e¨w³ Kwgk‡bi Awf‡hvM Ki‡Z cv‡ib| A_©vr MÖv‡gi ev kn‡ii, mgZj ev cvnvox Rb‡Mvôx, abx, Mixe, K…lK, kªwgK, wkw¶Z A_ev †h‡KB Kwgk‡b Awf‡hvM Ki‡Z cvi‡eb| Ae¯’v we‡ePbvq KwgkbI ¯^-D‡`¨v‡M Awf‡hvM MÖnY K‡i _v‡K|

 

Kx ai‡Yi Awf‡hvM Kiv hvq?MYcÖRvZš¿x evsjv‡`‡ki msweav‡b wØZxq I ZZ…xqfv‡M †h AwaKvi¸wj mKj bvMwiK‡K †`qv n‡q‡Q, Zvi jsN‡bi AvksKv ˆZix n‡j ev ¯^xK…Z AvšÍR©vwZK gvbevwaKvi AvB‡b ewY©Z AwaKvimg~‡n jswNZ n‡j RvZxq gvbevwaKvi Kwgk‡b Awf‡hvM Kiv hvq| †KB hw` g‡b K‡ib †h, gvbyl wn‡m‡e iv‡óªi Kv‡Q Zuvi Rxeb, mgZv I gh©v`vi †h AwaKvi cvIbv Av‡Q, Zv ¶zbœ n‡q‡Q wKsev ¶zbœ nIqvi AvksKv †`Lv w`‡q‡Q A_©vr ivóªxq ev miKvix ms¯’v ev cÖwZôvb ev msMVb ev †Kvb Rb‡meK KZ©„K gvbevwaKvi (Rxeb, mgZv I gh©v`v msµvšÍ AwaKvi) jsNb Kiv n‡q‡Q ev jsN‡bi cÖ‡ivPbv †`qv n‡q‡Q ev GB me AwaKvi jsNb cÖwZ‡iva Ae‡njv Kiv n‡q‡Q Zvn‡j gvbevwaKvi Kwgk‡b Awf‡hvM Kiv hvq|

 

Kxfv‡e Awf‡hvM `vwLj Ki‡eb?

Kwkk‡bi wba©vwiZ di‡g A_ev mv`v KvM‡R nv‡Z wj‡L ev UvBc K‡i, Kwgk‡bi Awd‡m wb‡R A_ev cÖwZwbwai gva¨‡g A_ev WvK/Kzwiqvi gvidZ, d¨v· A_ev B-†gB‡ji gva¨‡g Awf‡hvM cvVv‡bv hvq| Awf‡hv‡Mi mv‡_ Ab¨vb¨ KvMRcÎ, Qwe, AwWI-wfwWI wK¬c BZ¨vw` mshy³ Kiv †h‡Z cv‡i|

 

g‡b ivL‡eb…

1.     Kwgkb Awf‡hvMKvixi ev Awfhy³ Kv‡iv c‡¶ bq, eis wbi‡c¶fv‡e Awf‡hvM wb®úwËi D‡Ï‡k¨ Df‡qi Rb¨B KvR K‡i|

2.     Awf‡hvM Kiv ev Awf‡hvM m¤ú‡K© †LuvR †bqv, Awf‡hvM Kivi Av‡M civgk© Kiv BZ¨vw`i Rb¨ †Kvb LiP Kivi cÖ‡qvRb nq bv|

3.     Kwgk‡bi g~j j¶¨ n‡”Q ivóªxq cÖwZôvb †hb Zvi ¶gZvi Ace¨envi K‡i bvMwi‡Ki gh©v`v, m¤§vb, mgZv BZ¨vw`i AwaKvi jsNb Ki‡Z bv cv‡i Zvi  cÖwZ j‡¶¨ †i‡L mvwe©K gvbevwaKvi cwiw¯’wZi msi¶Y I Dbœqb NUv‡bv|

 

Awf‡hvM `vwL‡ji Rb¨ †hvMv‡hvM

†h †Kvb w`b mkix‡i G‡m A_ev Kwgk‡bi Awd‡mi cÖ‡ek c‡_ ÒAwf‡hvM ev·Ó -G Awf‡hvM Rgv †`qv hv‡e

A_ev

B›Uv‡b‡U: http://complaint.nhrc.org.bd/

A_ev

B-†gB‡j: nhrc.bd@gmail.com

A_ev

d¨v∙ : +88-02-8333219

A_ev

WvK‡hv‡M:

RvZxq gvbevwaKvi Kwgkb

¸j‡dukv c−vRv (11 Zjv),

8, knx` mvsevw`K †mwjbv cviwfb moK,

gMevRvi, XvKv-1217|

†dvb: +88-02-8331492