ঢাকা : রাজধানী ঢাকায় প্রধান ঈদ জামাত শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮টায় অনুষ্ঠিত এই প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ উৎসব আমেজে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ঈদগাহের এ জামাতের আয়োজন করে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঈদগাহে পৌঁছলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাঁকে স্বাগত জানান।
এ জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। মুসল্লিদের জন্য ওযু, খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেটেরও ব্যবস্থা ছিল।
জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহে সকল প্রবেশ পথ এবং ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নামাজের স্থানসহ ঈদগাহ মাঠের গোটা প্যান্ডেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
প্রধান এ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে র্যাব এবং পুলিশ সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এবার ৪০৯টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করে। দক্ষিণ সিটির জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান জামাতসহ ২২৯টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮০টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে। এখানে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মুকাররমে প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা কর হয়। এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি সকাল ৮টা ও পরেরটি ৯টায়। এছাড়া সকাল ৮টায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মেইন গেট সংলগ্ন মাঠ ও শহীদুল্লাহ হল লনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।