ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:১১:২১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

জাতিসংঘে আইএস রুখতে প্রস্তাব পাস

| ১১ আশ্বিন ১৪২১ | Friday, September 26, 2014

un.jpgইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখলে নেয়া ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাগরিকদের যোগ দেয়া ঠেকাতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে ব্যবস্থা নেয়ার তাগাদা দিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।

বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের সবার সম্মতিতে ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সভাপতিত্বে নিরাপত্তা পরিষদের ওই সভায় সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নেন। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই নীতি-নির্ধারণী ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এ ধরনের বৈঠক হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধা’ ঠেকাতে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য সংগ্রহ, সংগঠিত হওয়া, যাতায়াত, অস্ত্র সংগ্রহ ও অর্থ সংগ্রহ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

ইসলামিক স্টেটকে ‘নেটওয়ার্ক অব ডেথ’ আখ্যায়িত করে তাদের ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন ওবামা।

বৈঠক তিনি বলেন, “আজকে এখানে যেসব কথা হল তা অবশ্যই কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু সামনের দিনগুলোর জন্য নয়, আগামী বছরগুলোতেও তা করতে হবে।”

“রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই তাদের দেশ থেকে জঙ্গি অর্ন্তভুক্তিকরণ এবং এর পেছনে অর্থায়ন ঠেকাতে হবে।”

এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আইএসের নিন্দা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই ধরনের শয়তানদের সঙ্গে কোনো আলোচনা, সমঝোতা হতে পারে না।”

আইএসবিরোধী জোটে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসলামিক স্টেটকে ‘দুষ্টচক্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ক্যামেরন বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে উন্নত দেশগুলো থেকে তরুণরা আকৃষ্ট হয়েছে।

কয়েক মাস আগে ইরাক ও সিরিয়ার বিরাট এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ইসলামিক স্টেট। তাদের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৮০টির বেশি দেশের ১৫ হাজারের বেশি ‘যোদ্ধা’ রয়েছে বলে বৈঠকে ওবামা জানিয়েছেন।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক একটি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আইএসের ‘বিদেশি জঙ্গিদের’ মধ্যে সৌদি আরব, জর্ডান ও তিউনিশিয়ার সবচেয়ে বেশি নাগরিক রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি জঙ্গি আইএসে সম্পৃক্ত হয়েছে।

ইউরোপ থেকেও প্রায় এক হাজার জঙ্গি আইএসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ধারণা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য থেকে ৫০০ এবং বেলজিয়াম থেকে অন্তত ২৫০ জন আইএসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেছে প্রায় ১০০ জন।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ের থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম আইএস গত জুনে ইরাকের মসুলসহ সীমান্তবর্তী একটি বড় এলাকা দখলে নেয়। এরপর ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তজুড়ে বিশাল এলাকায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা।

ইরাকের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে তাদের হাতে বন্দী দুই মার্কিন সাংবাদিক ও এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে আইএস।

এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমাতে গত অগাস্টে ইরাকে তাদের স্থাপনা লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত আইএসের দুই শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।

সম্প্রতি সিরিয়ায়ও আইএসের স্থাপনায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরব, জর্ডান, বাহরাইনসহ কয়েকটি আরব দেশও তাদের ‘অভিযানে অংশ নিয়েছে বা সমর্থন জানিয়েছে’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রিত তেল পরিশোধনাগারে হামলা চালানো হয়েছে বলে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ওই সব তেল পরিশোধনাগার থেকে দিনে ২০ কোটি ডলার পেত আইএস।