ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:২২:৫২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ করণীয় সবকিছুই করবে : প্রধানমন্ত্রী

| ৮ আষাঢ় ১৪২৩ | Wednesday, June 22, 2016

সংসদ ভবন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করণীয় তা বাংলাদেশ করবে। এ ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই শান্তির ধর্মের সম্মান যাতে উচ্চ শিখরে নিতে পারি সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সবসময়ই আমাদের সন্ত্রাস বিরোধী ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে এ জন্য ইতোমধ্যে সরকার জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে। কোনভাবেই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় না দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান সবসময়ই আমি করে থাকি। ওআইসিতে যতবার গিয়েছি ততবারই এই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়েছে। ওআইসি মহাসচিবের সাথে যখনই সাক্ষাত হয়েছে, তখনই এই কথাটি বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করতে সৌদি আরব একটি ইসলামী জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ এই জোটে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দেশ এই জোটে যুক্ত হওয়ার ফলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মো. শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরকালে সৌদি বাদশাহ বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, এক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাদশাহ বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্রতি উত্তরে আমি বাদশাহর সাথে একমত প্রকাশ করে সৌদি আরবের সাথে যৌথভাবে বিশ্বশান্তিও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করি। সৌদি বাদশাহ সন্ত্রাস ও উগ্র জঙ্গিবাদ দমনে সৌদি সরকার প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামি জোটে’ যোগদানের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান। আমি সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির সফল বাস্তবায়নের দিকটি তুলে ধরে সৌদি বাদশাহকে বলি যে, প্রয়োজনে পবিত্র দুই মসজিদ রক্ষায় বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে। আমি এও বলি যে, বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে সৌদি আরবের এক বিশেষ স্থান রয়েছে।