কুড়িগ্রাম: বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়েই সদ্য বিলুপ্ত কুড়িগ্রামের দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে জমি দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
রোববার দুপুরে দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আব্দুল হাই (৫০) ও তার ছেলে রাসেল (১৭), খায়রুল হক (২২) ও তার ভাই ওবায়দুল হক (৫২), সিরাজ মিয়া (৭০) ও তার ছেলে এমদাদুল (৩৮), সদ্য বিবাহিতা মেয়ে সাহেরা বানু (২০), হারুন অর রশিদ (৩৫) আবুল কালাম আজাদ (৩২), আবু সিদ্দিক (২৮) ও তার স্ত্রী আলোয়া বেগম (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে কালিরহাট বাজারের পাশের একটি জমিা দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আব্দুল হাই ও সিরাজ মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোঠা বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। তাদের ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদও ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে আহত সিরাজ মিয়া বাংলামেইলকে জানান, ৩০ বছর আগে ১৮ শতক জমি প্রতিপক্ষ আব্দুল হাইয়ের বাবা মৃত আউয়াল ফকিরের কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করেন তিনি। এ সময় তার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে ওবায়দুল ও মোকছেদুল সাক্ষী ছিল।
তবে আব্দুল হাই জমি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলামেইলকে জানান, এটি একটি ভুয়া ব্যাপার। সিরাজ মিয়ার লোকজন জমিটি অবৈধভাবে দখলে নিতে নানা কেশৈলের আশ্রয় নেয়।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা বাংলামেইলকে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাংলামেইলকে জানান, উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কালিরহাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।