ঢাকা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:১৪:২৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

চীন-রাশিয়ার কাছে হেরে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

| ১ অগ্রহায়ন ১৪২৫ | Thursday, November 15, 2018

 

চীন-রাশিয়ার কাছে হেরে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলে সামরিক বাজেট এতটাই অপর্যাপ্ত যে, যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার কাছে হেরে যেতে পারে। বুধবার প্রকাশিত মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্যানেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এমন একসময় এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে, যখন দেশটি ২০১৮ ও ২০১৯ রাজস্ব বছরে সামরিক বাজেট কর্তনের কথা ভাবছে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি কমিশন নামে দ্বিদলীয় বিশেষজ্ঞ প্যানেল। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলীয় ১২ শীর্ষ সাবেক নেতা ওই প্যানেলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক একটি সংকটের মোকাবেলা করছে।

ওই প্যানেলকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুদূরপ্রসারী ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি (এনডিএস) পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেস।

ট্রাম্পের ওই প্রতিরক্ষা কৌশল পরিকল্পনায় মস্কো ও বেইজিংয়ের মতো নতুন যুগের বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, ‍যখন মার্কিন সামরিক বাহিনী বাজেট হ্রাস ও সামরিক সুবিধাদি কমে যাওয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, তখন চীন ও রাশিয়ার মতো কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিগুলো নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

কমিশন বলেছে, আমেরিকার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব তার বিশ্বব্যাপী প্রভাব ও জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষমতার মেরুদণ্ড হলেও এটি বিপজ্জনক মাত্রায় ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

চলতি শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহবিরোধী অভিযানে জোর দেয়ার কারণে লড়াইয়ের অন্যান্য এলাকা যেমন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, সাইবার ও মহাকাশ অভিযান, নৌযুদ্ধ ও সাবমেরিন প্রতিরোধী যুদ্ধের মতো ক্ষেত্রেগুলো থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সক্ষম প্রতিপক্ষগুলো বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা ও পরিকল্পনার করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা দুর্বল হয়েছে।

প্রতিবেদনে এর জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ত্রুটিপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে গৃহীত বিশেষ বাজেট নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপগুলো অন্যতম বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এসব প্রবণতার সব মিলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

কমিশন আরও বলেছে, এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে আমেরিকার প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে এবং সামরিক ভারসাম্য নিশ্চিতভাবে প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে আর তাতে সংঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কমিশন তাদের পর্যালোচনায় দেখতে পেয়েছে, পরবর্তী লড়াইয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রত্যাশিতভাবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে, লড়াইয়ে জিততে তাদের সংগ্রাম করতে হতে পারে-এমনকি চীন বা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরেও যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একই সঙ্গে দুটি বা তারও বেশি যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে বাধ্য হলে বিহ্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে বলেও ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চলতি বছরের সামরিক বাজেট ৭০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এটি রাশিয়া ও চীনের সম্মিলিত সামরিক বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি।

কিন্তু কমিশন বলছে, এ বাজেট এনডিএসে যে লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণে পরিষ্কারভাবে অপর্যাপ্ত। প্রতিবেদনে তারা মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেট প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে।