সামান্য জায়গা ছাড় দেয়ার জন্য চাঁদা নিয়েও কথা রাখলো না শংকর সাহা। তার পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিক মন্টু সাহার কাছ থেকে গোপন “সমঝোতার” ভিত্তিতে বিপুল অঙ্কের ‘সেলিমী’ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ১০ নং বি,দাস, রোডস্থ একতলা টিনশেড
আধাপাকা পরিত্যক্ত সম্পত্তির দক্ষিণের কামরার পাশের গলির ৫X৩০ ফুট ভূমির দখল ছেড়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
তারপরই সুফলভোগী নিকটতম প্রতিবেশী সুকুমার সাহাগং( মন্টু সাহার ভাই) ওই পরিত্যক্ত সম্পত্তির দেয়াল ঘেঁষে প্রায় ৮ কাঠা জায়গার উপর স্বাচ্ছন্দে ৬ তলা বিল্ডিংএর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। পরবর্তী ধাপে উপর তলার দেয়ালের প্লাস্টার কাজ শুরুর সময় শংকর সাহা পুনরায় মন্টু সাহার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করলে ঘটে বিপত্তি।
এ নিয়ে দরকষাকষির এক পর্যায়ে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। মন্টু সাহা ‘চুক্তির’ বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করায় শংকর সাহা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন । অভিযোগ শোনা যায়, প্রায়ই মন্টু সাহাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও হুমকী দিতেন শংকর সাহা । এর ধারাবাহিকতায় শংকর সাহা ভোল পাল্টে ‘সাধু’ সেজে মন্টু সাহা ও সুকুমার সাহাদের বিরূদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ কাঃবিধিমতে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং- ২৪৫/২০১৩ ইং। দ্রুত দৃশ্যপট বদলাতে থাকে! রাতারাতি বন্ধু থেকে শত্রুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রতিবেশী মন্টু সাহা ও সুকুমার সাহার উপর আক্রোশমূলক তৎপরতা অব্যাহত রাখেন প্রভাবশালী শংকর সাহা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংশিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়ায় আলোচ্য বিল্ডিংয়ের বাইরের প্লাস্টার কাজও বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মন্টু সাহার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি শংকর সাহার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ৩০ লাখ টাকা নয়, ‘শংকর সাহাকে ৮ লাখ ও মধ্যস্থতাকারী হাজী হাসেমকে ২ লাখ টাকা দিয়েছি।’ তবে, একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মন্টু সাহার কাছ থেকে শংকর সাহা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণে মন্টু সাহা তা চেপে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। দাপটশালী শংকর সাহার বিরূদ্ধে অগণিত অভিযোগ পাওয়া গেলেও হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে, মন্টু সাহার সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া গেছে। শংকর সাহাকে ১০ লাখ টাকা প্রদানের স্বীকারোক্তির কথোপকথনের রেকর্ড করা হয়েছে। যা আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। রেকর্ড করা কথোপকথনের এক অংশে মন্টু সাহা আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগেও শংকর সাহা এলাকার ৩ ব্যবসায়ীকে দূত হিসেবে মন্টু সাহার কাছে পাঠান। এ তিন ব্যবসায়ী মন্টু সাহাকে প্রস্তাব দিয়ে জানান, শংকর সাহাকে কিছু টাকা দিলে দেয়ালের আস্তরণের কাজ করতে শংকর সাহা আর বাঁধা দেবেন না। তখন শংকর সাহার এই প্রস্তাব মন্টু সাহা প্রত্যাখ্যান করেন।
তথ্যসূ্ত্র-লাইভ নারায়ণগঞ্জ ডট কম,Published on Thursday, 09 July 2015 21:00