জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান আর নেই। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তিন ছেলে, চার মেয়ে ও অসংখ্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন খলিল। প্রথম আলোকে খলিলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে খালেদ খান।
খালেদ খান বলেন, ‘বাবা অনেক দিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তিন দিন আগে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি চিকিৎসক খালেদ মোহসিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টায় মারা যান বাবা। বেলা তিনটায় এফডিসিতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ এশা সলিমুল্লাহ রোডে পারিবারিক কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হবে।’
১৯৩৪ সালে ভারতের মেদিনিপুরে জন্মগ্রহণ করেন খলিল। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’। প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান খলিল। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান। প্রায় ৮০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন এই গুণী অভিনেতা। ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।