নিউজডেস্ক :: প্রধান আমদানি রপ্তানি কার্যালয় (সিসিআইই) ঢাকার নিয়ন্ত্রক মো.শহিদুল হককে তার পদ থেকে সরিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে । আজ রোববার সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেন। ফলে এখন থেকে আর তিনি সিসিআইই-এর নিয়ন্ত্রক নন। ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, জনস্বার্থে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জানতে চাইলে প্রধান আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রক মজিবুর রহমান বলেন, শহিদুল হককে অবমুক্ত করে কিছুক্ষণ আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন থেকে আর এ কার্যালয়ে কোনো কর্মকর্তা নন।
নিজের অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের কারবার চালাচ্ছিলেন শহিদুল হক। পাঁচটি ভিডিওচিত্রে ঘুষ গ্রহণের এ দৃশ্য ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শহিদুল হক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দর-কষাকষি করছেন, গুনে গুনে টাকা বুঝে নিচ্ছেন। হাসতে হাসতে সেই টাকা আবার নিজের প্যান্টের পকেটে পুরছেন।
শহিদুল হকের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে করা গোপন ভিডিওচিত্রসহ সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে গেলে সিসিআইই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) নিতে হয়। বিদেশে কোনো কিছু রপ্তানি করতে গেলেও এই দপ্তর থেকে নিতে হয় রপ্তানি নিবন্ধন সনদ (ইআরসি)।
এই দুই সনদের ক্ষেত্রেই ঘুষের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে জানা গেছে। কাগজপত্র ঠিক থাকুক আর না-ই থাকুক, ঘুষ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে কেউ কোনো সনদই নিতে পারেন না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানান, পুরো ঘুষ-বাণিজ্যেরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিসিআইইর ঢাকা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক শহিদুল হক।