যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে সংশোধন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজাকারের বাড়ি থেকে মেয়েটাকে নিয়ে আসুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দেয়ার শেখ হাসিনা কে? আগে তাকেই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে।
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দেশনেত্রী ফোরাম আয়োজিত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে মৃত্যুপ্রায় গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারেই জামায়াত ঘাপটি মেরে আছে। তার আত্মীয় স্বজনও অনেকেই রাজাকার। বিএনপি কার সাথে নির্বাচনী জোট করবে না করবে, তা একমাত্র তাদেরই ব্যাপার।
গয়েশ্বর আরও বলেন, জামায়াত এবং বিএনপির রাজনীতিতে আদর্শিক কোন মিল নেই। তবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় যে কারো সাথে নির্বাচনী জোট হতে পারে।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বিএনপি কখনো গণতন্ত্রের পরিপন্থী হয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেনি।
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইনু সাহেব আপনি আজ গণবাহিনীর হত্যার কথা ভুলে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে বাঁচতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ভয় বা হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। এর আগে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছি, এবার নব্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও হটাব।
সংগঠনের উপদেষ্টা এ.কে.এম বশীর উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশারফ হোসেন, কৃষকদল নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।