গোপালগঞ্জে সংখ্যালঘু মহিলার সম্পত্তি জোর করে দখল করে সেখানে বসত ঘর তোলা হয়েছে। বিভিন্নস্থানে ধরনা দিয়েও ওই মহিলা তার সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেননি। সংখ্যালঘুশান্তি লতা সরকার তার সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী গ্রামের অমরেশ সরকারের স্ত্রী শান্তি লতা সরকার অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের মোকলেছ মোল্লার স্ত্রী পলি বেগম আমার ৫৫/৫৯ নং বৌলতলী মৌজার ১১৭৪ দাগের ১৫ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে। সেখানে বসতঘর তুলে স্বামী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। ঘর তুলতে বাঁধা দিলে তার লোকজন আমাকে খুন জখমসহ দেশ থেকে বিতারিত করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা প্রথম দফায় সালিশ করে ওই জায়গা থেকে পলি বেগমকে উচ্ছেদের জন্য পাশের জায়গার মালিক সৌদি প্রবাসী হানিফ কাজী দায়িত্ব নেন। কিন্তু হানিফ কাজী তার খালা পলি বেগমকে জায়গা থেকে উচ্ছেদ না করেই সৌদি আরব চলে যান।
এ অবস্থায় জমি দখল মুক্ত করতে আমি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে গত ১ আগষ্ট আবেদন করি। পুলিশ সুপার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ ওই সম্পত্তি আমার বলে ১৯ আগষ্ট প্রতিবেদন প্রদান করে। তকে ওই সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য ৫ গ্রামের গন্যমান্য বক্তিরা বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে গত ২৬ আগষ্ট সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশ বৈঠকে পলি বেগমকে ওই জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। জায়গা থেকে ৭ দিরে মধ্যে ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য তাকে ৭৫ হাজার টকা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। অমরা ৭৫ হাজার টাকা বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। কিন্তু পলি বেগম চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেননি। এখন পর্যন্ত সে আমার জায়গা থেকে ঘর সরিয়ে নেয়নি। আমি আমার জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, পলি বেগম অবৈধ ভাবে জোর করে শান্তিলতার জায়গা দখল করে বসতঘর তুলে বসত করছে। ডিবি পুলিশ প্রতিবেদনে এ জায়গার মালিক শান্তি বলে উল্লেখ করেছে। তারপরও তাকে ওই জায়গা থেকে ঘর সরিয়ে নিতে ৫ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক করে ৭৫ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পলি বেগম সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘর সরিয়ে নেননি।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ ডিবি পুলিশের এ.এস.আই আনিজুল শেখ বলেন, ওই জমির কোন কাগজপত্রই পলি বেগম দেখাতে পারেনি। সমস্ত কাগজপত্র পর্যলোচনা করে দেখা গেছে শান্তিলতা সরকারই ৫৫/৫৯ নং বৌলতলী মৌজার ১১৭৪ দাগের সমস্ত সম্পত্তির প্রকৃত মালিক। পলি বেগমের ভাগ্নে সৌদি প্রবাসী হানিফ কাজী ওই দাগের কিছু সম্পত্তি ক্রয় করে। সালিশ বৈঠকে তিনি পলি বেগমকে ওই সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের দায়িত্ব নেন। কিন্তু খালাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ না করে তিনি সৌদি চলে যান। পলি বেগম মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন।