এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের এক দিনমজুরের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টাকারী প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের পক্ষাবলম্বন করে ওই দিনমজুরের কলেজ পড়ুয়া মেধাবী পুত্রকে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে বসে মারধর করেছেন থানার ওসি। এ সময় ওই দিনমজুরের সপরিবারকে ওসি কর্তৃক ভারতে পাঠিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ওসির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিনমজুর হরলাল মিস্ত্রি (৫৫)। চন্দ্রহার গ্রামের মৃত কৃষ্ণ কান্ত মিস্ত্রির পুত্র হরলাল মিস্ত্রির অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি চন্দ্রহার এলাকার তার সম্পত্তির চার শতক জমি স্থানীয় আল-আমিন ভূঁইয়া গংয়ের কাছে বিক্রি করেন। অতিসম্প্রতি ওই জমির পুরো অংশ জোরপূর্বক জবরদখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে প্রভাবশালী আল-আমিন ও তার সহযোগীরা। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বাটাজোর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, প্রভাবশালী আল-আমিন গংয়ের পক্ষাবলম্বন করে ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন, এসআই জুবায়ের তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার বিকেলে আকস্মিকভাবে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের দিনমজুর হরলাল মিস্ত্রিকে শাসিয়ে আল-আমিনের কথামতো চলার জন্য ওসি হুমকি প্রদর্শন করেন। এতে হরলাল মিস্ত্রির কলেজ পড়ুয়া মেধাবী পুত্র স্বজল মিস্ত্রি প্রতিবাদ করায় উপস্থিত লোকজনের সামনে বসে ওসি সাজ্জাদ হোসেন তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে হরলালের সপরিবারকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্যও তিনি (ওসি) হুমকি প্রদর্শন করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিরোধ মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দিয়েছি। উল্লেখ্য, এর পূর্বে ওসি সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার টরকী এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন ও ইল্লা এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকান ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পুনরায় ওসির নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার দোকানঘর উত্তোলন করে দেয়া হয়।