ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৪৯:১৬

গর্ভাবস্থার শুরুতে সাধারণত কী ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়?

| ৩ কার্তিক ১৪২৪ | Wednesday, October 18, 2017

 

সুস্থ মা ও সুস্থ শিশুর জন্য গর্ভাবস্থায় চেকআপ প্রয়োজন। গর্ভাবস্থার শুরুর সময়ে কিছু বিষয় দেখা হয় এবং প্রচলিত কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাজনীন আহমেদ। বর্তমানে তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল ও হাসপাতালে গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : আপনাদের কাছে যখন যায় তখন কী দেখেন?

উত্তর : আসলে প্রথম চেকআপ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম চেকআপে যখন একটি মা আসে তাঁর একটি  ইতিহাস নেওয়া হয়। এতে দেখা হয় তার আগে কোনো অসুখ ছিল কি না। যেমন পারিবারিক ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখা হয়, মেয়েটির বাবা মা বা তার পরিবারের কারো ডায়াবেটিস রয়েছে কি না। এই ধরনের রোগগুলো পরিবার থেকে ছড়ায়। এমন হলে দেখা যায় গর্ভবতীর ক্ষেত্রে পরীক্ষাগুলো আমাদের সেভাবে শিডিউল করে করতে হয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের ইতিহাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসটা আমরা নিই। তখন সযত্নে ইতিহাস নিতে হয়। এটি আমরা প্রথমবার ব্যবহার করি। ওই কার্ডটা নিয়ে যখন দ্বিতীয়বার আসে, তখন তার লক্ষণ ছাড়া অত কিছু দেখার আর প্রয়োজন পড়ে না। তখন আমরা কার্ডই দেখছি। সব তথ্য সেখান থেকে নিই। প্রথমে এলে আমরা খুব ভালো করে ইতিহাস নিই। শারীরিক চেকআপ করি। এ ছাড়া অনেক সময় প্রথম দিকে হয়তো পারভ্যাজাইনাল পরীক্ষা করার দরকার হয়।

প্রশ্ন : ওষুধের প্রয়োজন পড়ে কখন থেকে?

উত্তর : প্রথম ট্রাইমিস্টার থেকে ফলিক এসিডের সঙ্গে জিংক খুবই দরকার। একটি বাচ্চা যখন গঠন হবে তখন তার জন্য ফলিক এসিডটা খুব দরকার। না হলে শিশু অনেক সময় গঠনগত ত্রুটি নিয়ে আসে। যে মায়েরা আসলে ফলিক এসিড খায়, গর্ভাবস্থার আগে থেকে বা প্রথম থেকে তাদের এই ঝুঁকিটা অনেক কমে যায়। আমরা প্রথম ট্রাইমিস্টারে ফলিক এসিডের সঙ্গে জিংক দিয়ে থাকি। আর কারো যদি খুব বেশি বমি হয়, তাহলে কিছু বমির ওষুধ দেই, যেটা নিরাপদ। বাচ্চার জন্য কোনো ত্রুটি করবে না, সেটা দেই। গ্যাসের সমস্যা বেশি হলে গ্যাসের ওষুধ দিয়ে থাকি। এই ধরনের সাধারণ কিছু ওষুধ দিয়ে থাকি।