ঢাকা: টিআইবির নির্বাহী পরিচাক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করা যাবে না ততদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে না ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ’ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অর্থায়ন সব সময় একাকার ছিল, কিন্তু এখন সেটা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত দুটি সংসদ নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। এখন শুধু রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে না। কিছু মুনাফালোভীদের হাতে রাজনীতি চলে যাচ্ছে।”
আইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “দেশ স্বাধীন হ্ওয়ার পর আমাদের দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী ছিল মাত্র ১৭.৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে সেটা ৫৯ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। কোনো বিশেষ পেশার লোক রাজনীতিতে আসতে পারবে না সেটা আমরা বলি না। তবে এই যে ধারাটি তা হলো- রাজনীতি এবং রাজনৈতিক অবস্থান বর্তমানে একটি মুনাফা লাভের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এই গবেষক বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন। নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের আইনী কাঠামো ভালো। তবে চর্চার দিক থেকে খুবই খারাপ। আইন রয়েছে, তার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারি না। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সূত্রে প্রাপ্ত নির্বাচনী ব্যয়ের যে সুন্দর তালিকাটি আমরা দেখি। তার বাইরে শুধু নির্বাচনী ব্যয়ের উপরেই আলাদা একটা দৃশ্যপট আছে। আমাদের মাঠ পযায়ে অভিজ্ঞতা হল-নির্বাচন কেন্দ্রীক ব্যয়ের যে দৃশ্যমান হিসাব দেয়া হয় তার বাইরে অদৃশ্য ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা বলা যেতে পারে-যেটাকে বলা যায় একটা ‘ব্লাক ম্যাজিক এরিয়া’। এই এরিয়াতে মনোনয়নের মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থের লেনদেন হয়।