ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৬:০২:২৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

খালেদা জিয়া জেল কোডের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন : আইনমন্ত্রী

| ৬ আষাঢ় ১৪২৫ | Wednesday, June 20, 2018

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জেল কোডে থাকা বিধিবিধানের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারি জজদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক পপ্রশ্নর জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনের মাধ্যমে এগোচ্ছি। আদালত কাউকে শাস্তি দিলে তিনি কারাগারে যান। কারাগারের যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ক্ষেত্রে জেল কোড প্রযোজ্য হয়। খালেদা জিয়া জেল কোডে যা আছে তার থেকে বেশি সুবিধা এখন পাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে জেল কোডের ব্যত্যয় ঘটানো বা আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর কোন কারণ এখনো উদ্ভব হয়নি। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই বলে জানান আইনমন্ত্রী।
আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের বিচারক সংকট আছে এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। এর আগে সাতজন বিচারক ছিল। বহুবছর পাঁচজন বিচারক দিয়ে আপিল বিভাগ চলেছে। তার থেকে এখন মামলা বেড়েছে কথাটা ঠিক। বর্তমান বিচারক যারা আছেন তারা কিন্তু বহুদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন মামলার সংখ্যা কিন্তু কমে আসছে। একেবারেই সংকট আছে সেই ক্ষেত্রে আমি দ্বিমত পোষণ করি। তারপরেও আপিল বিভাগে শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সহকারী জজদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।
প্রশিক্ষণার্থী সহকারী জজদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ওপর শুধু আইনের শাসনই নয়Ñ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণও নির্ভর করে। তিনি বলেন, সরকার দেশে বিদ্যমান মামলা জট কমাতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল যুগের বিচারক হিসেবে নবীন বিচারকদের বিজ্ঞানমনস্ক ও ইনোভেটিভ আইডিয়া সমৃদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আদালত বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ ভরসাস্থল। সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। বিচারকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বেপূর্ণ। তাই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ২ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে ৪ ও ৬ মাস করার কথা তিনি জানান।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় আবু সালেহ শেখ মো.জহিরুল হক বলেন, বিচারকদের সততার কোন বিকল্প নেই। বিচারকের মর্যাদা বিচারকদের রক্ষা করতে হবে। তাদের চলা ও আচরণে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। বিচারপ্রার্থী জনগণ যেন হররানির শিকার না হয় সেদিকটি বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে।