ছবি : সংগৃহীত
সাধারণত কোলন ও রেক্টামের ক্যানসারকে কোলন ক্যানসার বলা হয়। পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, কালো পায়খানা হওয়া, পায়খানার পথ সরু হয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি কোলরেক্টাল ক্যানসারের লক্ষণ।
যেকোনো রোগই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। কোলরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আরমান রেজা চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোলরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধে কী করবেন?
উত্তর : সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষ, যাদের শিক্ষার হার একটু কম, তাদের মধ্যে সচেতনতা কম। তাই চিকিৎসক, গণমাধ্যম সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা উচিত। এতে মানুষের সচেতনতা বাড়বে। মানুষ যখন সচেতন হবে, উপসর্গ দেখা দিলেই কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাবে। কী কারণে হয়েছে সেটি খোঁজার চেষ্টা করবে। তখনই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা যাবে।
কোলরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস প্রচলিত রয়েছে। সেটি হলো স্ক্রিনিং। উন্নত বিশ্বে কোলরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে রুটিন স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের মানুষকে দুভাবে ভাগ করা যেতে পারে। একটি হলো যারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ (তাদের পরিবারের কারো রয়েছে বা এমন কোনো বিষয় রয়েছে যেগুলো তাদের উচ্চ ঝুঁকির বলে চিহ্নিত করছে), তাদের ক্ষেত্রে একধরনের স্ক্রিনিংয়ের প্রটোকল রয়েছে।
আবার যাদের এসব ঝুঁকি নেই, যাদের আত্মীয়স্বজন বা পরিবারের কারো মধ্যে নেই তাদের ক্ষেত্রে আরেক ধরনের স্ক্রিনিং পদ্ধতি মেনে চলা হয়। আসলে উচিত হলো স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে থাকা। আমাদের দেশে ধীরে ধীরে মানুষদের এই স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা উচিত। তাহলে অনেকাংশে আমরা ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতে পারব।