পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হামলায় কীর্তন অনুষ্ঠানের পুরোহিত দুলাল বৈষ্ণব ও স্থানীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র শীল আহত হন। হামলাকারীরা তাঁদের মারধর করে এবং নারীদের ধাক্কা দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেয়। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় এবং ওই বাড়ির বাসিন্দা ও কীর্তন অনুষ্ঠানে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বীসহ অন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ওই বাড়ির বাসিন্দা সমীর চন্দ্র শীল প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে একই এলাকার ২৫-৩০ জনের একদল যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে বাড়ির সামনের তোরণ ভেঙে ফেলে। এরপর তারা বাড়ির ভেতরে তৈরি করা প্যান্ডেলের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং কীর্তনের পুরোহিত ও স্থানীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধর করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ফজলে রাব্বী প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেলে বাদশা নামের এক যুবকসহ কয়েকজন এসে অনুষ্ঠানের তোরণ ঠেলে ফেলে দেন ও প্যান্ডেলের ক্ষতিসাধন করেন। এতে কীর্তন অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।