গত ১২আগস্ট সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ (BDMW) এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সংগঠনের নেতাকর্মী ও আলোচকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।বক্তরা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাহফুজুর রহমান এর কক্ষে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষসহ তার সহ-কর্মীদের উপর যে বর্বরচিত হামলা চালানো হয়েছে,তার নিন্দা জানিয়ে এর উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন তারা।বক্তরা আরও বলেন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ক্ষমতায় থাকাকালে মানবাধিকার কর্মীদের উপর এধরনের হামলা মেনে নেয়া যায়না ,আপনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টের নির্দেশ দিন,আর এতটুকুত আমরা আশা করতেই পারি।
উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ,সহ-সভাপতি তপন কুমার পান্ডে ,সেক্রটারী জেনারেলর মানিক চন্দ্র সরকার,বি সি এইচ আর ডি এর নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল হকসহ বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সদস্য দিলীপ কুমার রায়,রঞ্জন মন্ডল প্রমূখ।
উল্লেক্ষ্য যে গত ২১/০৭/২০১৮ ইং তারিখে কোটালীপাড়া মানবাধিকার কর্মী শ্রী তুষার গাইন (২৮) নামক এক হিন্দু যুব নেতাকে ৩ নং রামশিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রী রামানন্দ ঢালী (মোবাইল ০১৭১৭৭৫৩৩৪৯) ত্রিমুখি বাজারে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হয়েছে বলে কোটালীপাড়া থানায় শ্রী তুষারের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ ( F.I.R.) দায়ের করে ধারা ২৯৫ক/২০৬/২৯৮ দন্ডবিধি থানার অফিসার-ইনচার্জ মোঃ কামরুল ফারুক ০২/০৮/২০১৮ ইং তারিখে শ্রী তুষার গাইনকে গ্রেপ্তার করে এবং রিমান্ড চান তুষার গাইন জেলে যেতে না যেতেই থানার অফিসার-ইনচার্জ মোঃ কামরুল ফারুক বে-আইনি ভাবে প্রভাবিত হয়ে অন্য আর একটি পুরাতন মামলা নং ০৭ তাং ০৮/০২/২০১৮ ইং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯(১)/ক ধারায় জামাতের সংজ্ঞে সংস্লিষ্টতা প্রমান করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ।যাহা আইন বিরোধী ও দমন নিপীড়নের হাতিয়ার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ।
তিনি আরও বলেন আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং মানবাধিকার ক্ষুন্য হয়েছে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে (Religious discrimination) BDMW তদন্ত করার জন্য গত ১০/০৮/২০১৮ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কে অগ্রিম খবর দিয়ে আমি এডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ, অমরেশ গাইন, রবীন্দ্র নাথ বড়াল, রঞ্জন মন্ডল, দিলীপ কুমার রায়, রথিন বারুরি,মো ইমাম হোসেন জামাদ্দার,মো সারওয়ার হোসেন ও আরো ২/৩ জন করমী (worker) কোটালীপাড়া উপজিলা নিরবাহি অফিসে (UNO OFFICE) এলোপাথারি অবস্থায় ১৫/২০ জ়ন আক্রমনকারী অফিসে ঢুকে আমাদের মোবাইল সেট, ক্যামেরা কেড়ে নেয়, আমাদের পিছন দিক থেকে চড় থাপ্পর, কিল ঘুশি মারতে থাকে । আমরা আহত অবস্থায় চেয়ারের নিচে পড়ে যায়।
উক্ত ঘটনা হোম মিনিষ্টার (HOME MINISTER) আসাদউজ্জামান খান কামাল এবং আইন মন্ত্রী ( LAW MINISTER ) এডভোকেট আনিসুল হককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে ।তাহারা বিষয়টি দেখবেন বলে (BDMW) কে আমাকে বলেছেন ।