ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:০৯:২৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

কেন বাংলাদেশে আসছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

| ৩০ আশ্বিন ১৪২১ | Wednesday, October 15, 2014

কেন বাংলাদেশে আসছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী?নিজের শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরুতেই কূটনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাঁচ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সফর করেছেন ভুটান, নেপাল, জাপান ও আমেরিকায়। আগামী বছরের শুরুতেই শ্রীলংকা সফরে যাচ্ছেন মোদি। কিন্তু বাংলাদেশে তার সফরে আসার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিতই রয়ে গেছে। আর এ বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেক জল্পনার সৃষ্টি করেছে।

মোদি কি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিকে পাত্তা দিতে চাচ্ছেন না? দু্ই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনেক সমস্যা রয়েছে যেগুলোর সমাধান হওয়া দরকার। ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে হওয়া সীমান্ত ভূমি চুক্তি, যার ভেতর বাংলাদেশে ৫১টি ও ভারতে ১১১টি ভূমির বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। চুক্তিটি বাস্তবায়নে এখনো ভারতের অনুসমর্থন দরকার। দুই বছর আগে ঢাকায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সফর করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। এছাড়াও অন্যান্য ইস্যু অমীমাংসিত রয়ে গেছে যেমন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা, ৫৯টি যৌথ নদীর পানি ভাগাভাগি এবং সীমান্তে বিএসএফ দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ড। এসব বাদেও প্রতিবেশী এই দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। এটি এখন হুমকিস্বরূপ।

মোদি একজন পরিপক্ক রাষ্ট্রনায়ক। তিনি জানেন, দুই দেশের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের কথা বলে সৌজন্য সফর করলে তা বাংলাদেশের মানুষকে সন্তুষ্ট করবে না। বাংলাদেশের জনগণ এধরনের সৌজন্য পারিভাষিক কথা বছরের পর বছর ধরেই শুনে আসছে। মোদিও চান না তার পূর্বসূরি মনমোহনের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। তিনি খুব কৌশলে নিজের কাজগুলো বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছেন যাতে করে শেষ মুহূর্তে তাকে কোনো অস্বস্তিকর অবস্থার ভেতর না পড়তে হয়।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও এক বিজেপি নেতার কথায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সুষমা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘দুই দেশের সীমান্ত ভূমি চুক্তি ও তীস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়নের কাজের ধাপগুলো শুরু হয়ে গেছে। এর পরিণতি একটি আশাব্যাঞ্জক ফলের মধ্যে শেষ হবে, এর জন্য বেশি সময়ের অপেক্ষা করতে হবে না।”

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘‘আগামী মার্চ মাসের ভেতরেই দুটি চুক্তির বাস্তবায়ন চান মোদি।”

তিনি বলেন, ‘‘তিনি খালি হাতে বাংলাদেশ যাবেন না। এটা তার স্টাইলও নয়। তিনি বাংলাদেশের জন্য এমন কিছু সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন যা তারা প্রত্যাশাও করেনি।”

বাংলাদেশ তাই অপেক্ষা করছে মোদি তার ঢাকা সফরে ঝুড়িতে করে কী নিয়ে আসছেন তা দেখার জন্য। তিনি অমীমাংসিত ইস্যুগুলো কেবল গুরুত্বের সঙ্গেই দেখবেন না, সঙ্গে তার একটা সমাধানও বের করে দেবেন। আমরা কি এটা আশা করতে পারি না আগামী ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে মোদির ঢাকা সফর হবে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের উপযুক্ত উদযাপনের এক ক্ষণ। আর এটাই প্রতিবেশী দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয় জয় করার একটা সুযোগ। সূত্র: ডেইলি স্টার