প্রতারণার মামলায় আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মো. আব্দুল হাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি : সংগৃহীত
প্রতারণার মামলায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. মো. আব্দুল হাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আব্দুন নূর এই নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী কিশোরগঞ্জ শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার জসিম উদ্দিন সুজন ও আসামি ডা. মো. আব্দুল হাই আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল ডা. আব্দুল হাই ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাঁর মামাতো ভাই জসিম উদ্দিন সুজনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নেন। এ নিয়ে এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু এক বছর পর টাকা ফেরত না দিয়ে বাদীকে নানা টালবাহানায় ঘোরাতে থাকেন আব্দুল হাই। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে টাকা না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগও করেন মামলার বাদী জসিম উদ্দিন সুজন। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন সুজন গত ২৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ ১ নম্বর আমল গ্রহণকারী আদালতে ডা. আব্দুল হাইকে আসামি করে একটি প্রতারণার মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখর চন্দ্র সরকার জানান, টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে দুইবার আদালত থেকে সময় নিয়েও ডা. আব্দুল হাই টাকা পরিশোধ না করে আদালতের অবমাননা করেছেন। আজ মামলার নির্ধারিত তারিখে হাজির হয়ে ডা. মো. আব্দুল হাই জামিনসহ পুনরায় টাকা পরিশোধের জন্য সময়ের আবেদন করলে বাদীপক্ষের আইনজীবী বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন এবং ডা. মো. আব্দুল হাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এম. এ রশীদ মামলা পরিচালনা করেন।