টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনায় ঘাটাইল ও কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া ওসিরা হলেন, ঘাটাইল থানার মোকলেসুর ইসলাম ও কালিহাতী থানার শহীদুল রহমান।
এর আগে শনিবার একই ঘটনায় ঘাটাইল থানার একজন ও কালিহাতী থানার দুইজন উপপরিদর্শক (এসআই) এবং চার কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছিলো।
শুক্রবার বিকালে কালিহাতী উপজেলায় মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের সামু শেখের ছেলে ফারুক হোসেন, কালিহাতী সদরের রবি দাসের ছেলে শ্যামল দাস, কালিয়া গ্রামের আলহাজের ছেলে শামীম ও ফারুক হোসেনের ছেল রুবেল।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ও পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সদর দপ্তরের এডিশনাল ডিআইজি আলমগীর আলমকে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে করা তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল এসপি আক্তারুজ্জামান ও টাঙ্গাইল রেঞ্জের এডিশনাল এসপি আসলাম খান। কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৯০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়।