ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৩:৪৭:১২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

কারা এই ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’

| ১২ ভাদ্র ১৪২২ | Thursday, August 27, 2015

কারা এই ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড' চট্টগ্রাম, ২৭ আগষ্ট- ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’(এসএইচবি) নামের এক সংগঠনকে অর্থায়নের অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তিন আইনজীবীকে। এ ঘটনার পরই আলোচনায় আসে সংগঠনটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরে গঠিত হয় এ সংগঠন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাগুলোকে মানুষের সামনে নিয়ে এসে সদস্য সংগ্রহ করা।

উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ২০১৩ সালের শেষ দিকে চট্টগ্রামের ফয়েস লেক এলাকার একটি রেস্তুরাঁয় বসে ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ গঠন করে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে তারা লটমণি পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করে বলে জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। সংগঠন গঠনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রদের এই সংগঠনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হতো। পরে তাদের পাহাড়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

র‌্যাবের তথ্যানুযায়ী, শহীদ হামজা ব্রিগেডের তিনটি সামরিক উইং আছে। এগুলো হচ্ছে- গ্রিণ, ব্লু এবং হোয়াইট। প্রত্যেক উইংয়ে সাতজন করে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য আছেন। এছাড়া সংগঠনটির প্রত্যেক সদস্য ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলেও দাবি করেছে র‌্যাব।

শহীদ হামজা ব্রিগেডের মতো দেশে একের পর এক জঙ্গি সংগঠন গড়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠন গড়ে ওঠার মতো যথেষ্ট স্পেস থাকা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দেশের মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অমিলই এর প্রধান কারণ। জঙ্গি নিধনের জন্য সরকারের যথাযথা পদক্ষেপের অভাবেও গড়ে উঠছে এসব সংগঠন।’

চলতি বছরের এপ্রিলে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থীসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিবিরের উচ্চাভিলাসী সদস্যরাও এর সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি দাবি করেন।

তখন র‌্যাবের চট্টগ্রাম শাখা থেকে বলা হয়, সংগঠনটির অর্থের লেনদেন হয় মূলত হুন্ডির মাধ্যমে। তবে সংগঠনটির পক্ষে পাঁচটি একাউন্ট পাওয়ার কথাও জানায় র‌্যাব।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী সদরের মাদরাসাতুল আবু বকরে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, জিহাদি বইসহ জঙ্গি সন্দেহে ১২ জনকে আটক করে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর লটমণি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বাসায় অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির বিপুল সাজ-সরঞ্জাম, ৭৬টি হাতবোমাসহ গ্রেফতার করা হয় আরো তিনজনকে। এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয় আরো তিনজনকে।