ঢাকা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:৪২:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

কমলগঞ্জে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

| ১০ ভাদ্র ১৪২১ | Monday, August 25, 2014

rep2.jpg

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাইপাড় গ্রামে প্রায় ১৬ বছরের এক কিশোর ধর্ষণ করেছে চার বছরের এক শিশুকে। ধর্ষিত ওই শিশুটিকে প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবার চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে পারেনি।

আশংকাজনক অবস্থায় ওই শিশুটিকে কমলগঞ্জ উপজেলা সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ অভিযোগটি রেকর্ড করেনি।

নির্যাতিত পরিবার জানায়,শিশুটির মা আছিয়া বেগম জানান,ধলাইপাড় গ্রামের হোসেন মিয়ার পুত্র সাকির মিয়া (১৬) প্রায় সময় ঘরে এসে আমার শিশু বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বসত ঘরের দরজায় সামনে সাকিরকে রেখে কাপড় ধোয়ার জন্য পুকুরে যাই। কিছুক্ষণ পর জলির চিৎকার শোনে দৌড়ে আসলে ঘর থেকে সাকির পালিয়ে যায়।

ঘরে গিয়ে দেখি রক্তাত্ব অবস্থায় জলি মেঝেতে পড়ে আছে। মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শোনে বিষয়টি সাকিরের পরিবারকে জানাই।

কিন্তু প্রভাবশালী সাকিরের পরিবার এটা কোন কিছু নয় বলে রক্তাত্ব শিশুটির চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেয়নি। এ অবস্থায় তিন দিন কেটে গেলেও শিশুটির রক্ত ক্ষরন বন্ধ হচ্ছিল না।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি রোববার বিকালে স্থনীয়দের সহযোগীতায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রঞ্জন সিংহ-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম শিশুটির পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার যায়।

শিশুটির শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রোববার বিকালেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা জলিল মিয়া বাদি হয়ে রোববার রাতে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু রহস্যজনক কারণে অভিযোগটি রেকর্ড করেনি পুলিশ। আলাপকালে কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত বদরুল হাসান বলেন,এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ ফেলে আইন আমলে নেয়া হবে।