ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:২৭:৫৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

একাত্তরে হিন্দুদের সম্পত্তিকে ‘গনিমতের মাল’ ঘোষণা দেন জব্বার

| ১৩ আশ্বিন ১৪২১ | Sunday, September 28, 2014

একাত্তর সালের ১৬ মে তুষখালী হাই স্কুল মাঠে জব্বার ইঞ্জিনিয়ার সভা করেন। ওই সভায় হিন্দুদের তিনি পাকিস্তানের শত্রু বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দশম সাক্ষী বিমল চন্দ্র ব্যাপারী তাঁর জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অর্থ-সম্পত্তিকে গনিমতের মাল হিসেবে ঘোষণা দেন।’ একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানগতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিনি এই জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে জেরা করেন পলাতক জব্বারের পক্ষে সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আবুল হাসান। সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।

গতকাল এই মামলায় মোট দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শেষ হয়। অষ্টম সাক্ষী ও একাদশ সাক্ষী আব্দুস ছত্তার শরীফের জবানবন্দি একই হওয়ায় প্রসিকিউশন একাদশ সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে উপস্থাপন না করে গ্রহণ হিসেবে ধরে নিতে আবেদন জানালে আদালত তা গ্রহণ করেন। এ জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীও তাঁকে জেরা করেননি। সাক্ষ্যে ৬০ বছরের বিমল চন্দ্র বলেন, ‘আসামি আব্দুল জব্বারকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। তাঁর বাড়ি মঠবাড়িয়া থানার খেতাছিড়া গ্রামে। একাত্তরে তিনি থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। আব্দুল জব্বারের নির্দেশে রাজাকাররা ‘৭১ সালে কলুপাড়া ও ফুলঝুরি গ্রামের ১৫০ থেকে ২০০ হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জোর করে কালেমা পড়িয়ে ধর্মান্তর করেন এবং তাদের নাম পরিবর্তন করানো হয়। এ ছাড়া হিন্দুদের সম্পত্তি ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় রাজাকাররা আমাদের সাতটি বাড়ি লুটতরাজ করে ৭২ বান্ডিল টিন, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালপত্র লুটপাট করে এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।