ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৩০:৪২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

একনেক সভায় কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন

| ৭ বৈশাখ ১৪২৩ | Wednesday, April 20, 2016


ঢাকা : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত দোহাজারি-রামু এবং রামু-গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৮ হাজার ৬৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৮টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আজ ঢাকায় এনএসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় একনেক সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং-এ একনেক সভার বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেন, বাণিজ্যিক ও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কক্সবাজার পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন স্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রকল্পের আওতায় দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় একশ’ এক কিলোমিটার এবং মায়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নতুন সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী পর্যটনখাতসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ প্রকল্পটিকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক‘ হিসেবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি জানান, সাবরাং ও মহেশখালীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হতে যাচ্ছে। দেশের বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য এ উদ্যোগ একটি মাইল ফলক। তিনি বলেন , ১৮৯০ সালে রেল লাইন স্থাপনের জন্য এলাকাটি সার্ভে করা হলেও শত বছরেরও বেশী সময় বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় একশ’ চৌয়ান্ন কোটি উনআশি লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ত্রিমুখী রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, একশ’ তেইশ কোটি সাতান্ন লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন বড়তাকিয়া (আবুতোরাব) থেকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক প্রকল্প, নব্বই কোটি উনিশ লাখ টাকা ব্যয়ে সাদুল্লাপুর-নবাবগঞ্জ জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প, চৌরাশি কোটি ষোল লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত মনু নদী সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউজ পুনর্বাসন প্রকল্প, উনষাট কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য একশ’টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী পুনর্বাসন প্রকল্প এবং বিয়াল্লিশ কোটি আটাত্তর লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মাল্টি চ্যানেল স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্প।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক উল ইসলাম, আইএমইডি সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং পরিকল্পনা কমিশনে সদস্যগণ প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন।