ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:০০:২১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

একদিন বাংলদেশের সকল মানুষ শিক্ষিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

| ৩ ভাদ্র ১৪২৩ | Thursday, August 18, 2016

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একদিন শিক্ষিত মানুষের দেশ হবে এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রত্যেক ছেলে-মেয়ের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এজন্য সকলের আগে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে চলতি ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কোন ছেলে-মেয়েই শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত থাকবে না। বঙ্গবন্ধু সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর সেই উদ্যোগ সফল হতে দেয়নি।
‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবই তুলব’, বলে প্রধানমন্ত্রী এ সময় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত রাখবে-এ আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারাইতো আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই দেশকে আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে এজন্য এখন থেকেই তাদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেইন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর একটায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।
বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ২২ জুন শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫৭ দিনে এই ফল প্রকাশ করল।
নাহিদ জানান, আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী ৮৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলে গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এ বছর সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী । কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের থেকে ১০টি কমে এবার ২৫টি হয়েছে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ছেলে-মেয়েদের থেকে অনেক মেধাবী।
বিশ্বের অনেক দেশ ঘোরার ফলে তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে নিজস্ব এই অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুধু তাদের শিক্ষার সুযোগটা করে দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিজেদের উন্নতির লক্ষ্যেই মন দিয়ে লেখাপড়া করেছে বলেই তাদের ফল দিন দিন ভালো হচ্ছে।’
এইচএসসি পরীক্ষায় তুলনামূলক ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ফল ভালো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, ছেলেদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আজকাল মেয়েরা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করছে, ছেলেদেরও পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হবে।’
শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেখি শিক্ষার অবস্থা খারাপ। তখন আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ শুরু করি, বাজেট বৃদ্ধি করি। ফলে শিক্ষার মান বাড়ে, সাক্ষরতার হারও বাড়ে। আমরা স্বাক্ষারতা হার বাড়াতে পেরেছিলাম বলে ইউনেস্কো আমাদের পুরস্কার দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশে সাক্ষরতার হার যা আওয়ামী লীগ সরকার রেখে গিয়েছিল সেখান থেকে না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে দেয় বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
২০১০ সালে তাঁর সরকার দেশে প্রথম শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতিতে কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণে তাঁর সরকার গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা যেন স্কুলে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায় তার পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে।
তিনি এ সময় হাওড় ও পাহাড়ি এলাকার ছেলে-মেয়েদের জন্য আবাসিক স্কুল গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ এবং কক্সবাজার জেলার ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।