ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:০১:১০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

| ২২ মাঘ ১৪২৫ | Monday, February 4, 2019

মেলা ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে বেশি করে শাক-সবজি, পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধসহ সুষম খাদ্য উৎপাদনে সফলতা ও সরকারের মনোযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সুষম খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমি বলবো একগাদা ভাতই শুধু খেলে হবে না। ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজিও বেশি করে খেতে হবে। আর মাছ-ডিম তো আছেই। যাতে খাবারটা সুষম হয়। আর সুষম খাবার হলেই পুষ্টি নিশ্চয়তাটা থাকে।

তিনি বলেন, আমাদের খাদ্যের যে অভ্যাসটা, সেই অভ্যাসটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আমি এটা দেশবাসীকে বলবো, আমাদের ছিল এক থাল পেট ভরে ভাত, সামান্য একটু সবজি খাওয়ার অভ্যাস।

বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতের সঙ্গে আমরা যদি তরি-তরকারি, সবজি খেতে হবে। সবজির মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক পুষ্টি আসে। সেটাও আমরা ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া এখনতো মাছ উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মাংস ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পোল্ট্রিও বেড়েছে- মুরগির খামার বাড়িয়েছি। দুধ উৎপাদন যাতে বাড়ে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। অর্থাৎ, পুষ্টিকর খাদ্যের দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। একজন দিনমজুরও যা কামাই করে তা দিয়ে ১০/১২ কেজি চাল কিনতে পারে। অতো চাল হয়তো প্রয়োজন হয় না। একটু মাছও কিনতে পারে, সেভাবে কিনছে এখন। মানুষ সচেতন হচ্ছে।

মেলা ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডিগবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের ধান উৎপাদনে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেন পুষ্টিসম্পন্ন ধান হয় সেটাও আমরা সংযোগ করে দিচ্ছি। গবেষণা করে করে করা হচ্ছে।

সুষম খাদ্যের সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে টানা তিন-বারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ যতই খাবার খাই, যা খাই যদি আমরা অপরিষ্কার থাকি কোনো খাবারই কাজে লাগবে না। সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

এবারের নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’। প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিপাদ্যের প্রশংসা করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।