ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:২৫:১৩

উৎসব বাসে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডে পুলিশের চমক: আদালতে নাদিমের স্বীকারোক্তি

| ৩১ শ্রাবণ ১৪২২ | Saturday, August 15, 2015

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সত্যই চমক দেখালো পুলিশ। চলন্ত বাসে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্যের জট অবশেষে খুলতে শুরু করেছে। বিজ্ঞ আদালতে আসামীর জবানবন্দী।

শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মনোয়ারা বেগম এর আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় হত্যাকান্ডের সাথে জরিত থাকা নাদিম। উক্ত জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে নাদিম।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো: হাবিবুর রহমান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় ৯ পেশাদার সন্ত্রাসীকে। এরপর নাদিমকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, লিংক রোডে চলন্ত বাসে দৃর্বৃত্তদের গুলিতে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪টি বিদেশী রিভলবার ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ ৯ জন পেশাদার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে শুক্রবার এবং শনিবার দুইদিন ব্যাপী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের চৌকষ দল।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক্সক্লুসিভ সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, আটককৃত ব্যাক্তিরা পেশাদার সন্ত্রাসী। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং পার্শ্ববর্তী ঢাকা মহানগরীতে ছিনতাই এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফতুল্লা ও ঢাকা ডেমরা মুগদা এলাকার নবী উল্লাহর পুত্র মো: লিটন(২৮), ফজলুল করিমের পুত্র আনোয়ার হোসেন(৪৬), ফিরোজ মিয়ার পুত্র মো: মিজান(২৫), আনোয়ারুল ইসলাম শাকিল(২০), মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো: শামীম হোসেন(১৮), কাশেম আলীর পুত্র শাকিল আহম্মেদ(১৮), নুরুল ইসলামের পুত্র ফারুক(২২), সিরাজ ফকিরের পুত্র বাবু(২৭), বাদশা মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান স্বপন(৩২)।

প্রসঙ্গত, গত (৩ আগষ্ট) ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পথে লিংক রোডস্থ মাহমুদনগর বাসষ্ট্যান্ডের সামনে উৎসব পরিবহনের চলন্ত বাস থামিয়ে মোবাইল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর নিহতের স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।