ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:৫৯:০১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ইয়েমেনে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু : মানবিক সংকট চরমে

| ১০ চৈত্র ১৪২৫ | Sunday, March 24, 2019

সানা : ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে।
জাতিসংঘ একথা জানিয়েছে।
হুতি বিদ্রোহী ও সরকার সমর্থক সৈন্যদের মধ্যে এই গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করলে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, এই যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যোগদানের পর থেকে ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত ও ৬০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।
তবে নিহতের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের সংখ্যা এর চেয়ে আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশন এগনেইস্ট হাঙ্গার জানিয়েছে, এই যুদ্ধে ৫৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ফরাসী ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থা অ্যাকশন কন্ট্রা লা ফেইম জানিয়েছে, ইয়েমেনে এই গৃহযুদ্ধের কারণে ৩৩ লাখ লোক বাস্তুচ্যূত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। এখানে ২০১৭ এপ্রিল মাস থেকে প্রাণঘাতী এই মহামারীতে ২ হাজার ৫শ’র বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় ১২ লাখ লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বরাবরই শিশুদের ওপর যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরছে।
২০১৮ সালে এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায়, ‘ইয়েমেন শিশুদের জন্য জাহান্নাম হয়ে গেছে।’
এতে আরো বলা হয়, দেশটিতে ৫ বছরের কম বয়সী ১৮ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিল্ড্রেন জানায়, ইয়েমেনে ২০১৫ সালের এপ্রিল ও ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে চরম অপুষ্টিতে ভুগে অথবা অপুষ্টিজনিত রোগে প্রায় ৮৫ হাজার শিশু সম্ভবত মারা গেছে। অন্যরা যুদ্ধে মারা গেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইয়েমেনে স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত ৭০ লাখ শিশুর মধ্যে ২০ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।
দেশটিতে ২ হাজার ৫শ’র বেশি স্কুল পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর দুই তৃতীয়াংশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭ শতাংশ স্কুল বন্ধ। সাত শতাংশ স্কুল সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করে অথবা সেগুলোতে বাস্তুচ্যূত মানুষের আশ্রকেন্দ্র বানানো হয়েছে।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারের অভাবের কারণে প্রতি পাঁচজন মেয়ের মধ্যে দুজনের বাল্য বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ১৫ বছরের আগেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।
হাজার হাজার ছেলে শিশুকে যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।