ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০৭:২৮:৪৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত গাজায় ইসরাইলের জোর হামলায় ৫৫ জন নিহত : হামাস হিজবুল্লাহ ‘লেবাননকে যুদ্ধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে’: ইসরায়েল সামরিক বাহিনী গাজায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

ইয়েমেনের যুদ্ধে পুষ্টিহীনতায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু

| ৭ অগ্রহায়ন ১৪২৫ | Wednesday, November 21, 2018

 

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের শিশুরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ছবি : সংগৃহীত

ইয়েমেনে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাপী শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন।

নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন, তবে দেশটির অর্ধেক ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে, সেখানে কোনো রকম চিকিৎসা সুবিধা কাজ করছে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা অবরোধের মুখে থাকায় অনেক মানুষকে অভাবে অনাহারে দিন পার করতে হচ্ছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইয়েমেনে পুষ্টিহীনতায় নিহতদের নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ বছরের কমবয়সী ৮৪ হাজার ৭০০ শিশুর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে জাতিসংঘ গত মাসে ইয়েমেনের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘ এই যুদ্ধ বন্ধে চেষ্টা চালাচ্ছে।

২০১৫ সালে হুতি শিয়া গোষ্ঠীর শক্তিশালী বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট আবদরাব্বুহ মানসুর হাদি দেশত্যাগে বাধ্য হলে সংকটের সূত্রপাত হয়। আরব দেশগুলোর সুন্নি কর্তৃত্ব ধরে রাখতে তৎপর সৌদি আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠন করে হুতিদের নিধন করতে বিমান হামলা শুরু করে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে, এ সংঘাতে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০০ জনের প্রাণহানি এবং ১০ হাজার ৭০০ জন আহত হয়। যুদ্ধ চলাকালে সৌদি জোটের অবরোধে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তাদের খাদ্য সরবরাহে চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। এক কোটি ২০ লাখ মানুষের বসতি এলাকায় মারাত্মক আকারে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ে।