ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:৫৯:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ইসলামবিরোধী সমাবেশ জার্মানির বিভিন্ন শহরে

| ২৩ পৌষ ১৪২১ | Tuesday, January 6, 2015

জার্মানিতে অভিবাসন ও ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।

এই সমাবেশকে উল্লেখ করা হচ্ছে সাম্প্রতিক কালের বৃহত্তম সমাবেশ হিসেবে।

পূর্বাঞ্চলীয় ড্রেসডেন শহরে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ১৮ হাজারের মতো মানুষ অংশ নেয়।

মাত্র কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে গত অক্টোবর মাসে জার্মানিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিলো।

এই আন্দোলন স্থানীয়ভাবে পেগিডা নামে পরিচিত। সোমবার রাতে তারা স্টুটগার্ট, ম্যুইন্সটার এবং ড্রেসডেন শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

পেগিডার একজন নেতা ক্যাথরিন ওয়েরটেল ড্রেসডেনের সমাবেশে বলেছেন, “জার্মানিতে আবারও রাজনৈতিক দমনপীড়ন শুরু হয়েছে।”

এই পেগিডার বিরুদ্ধেও দেশটিতে আন্দোলন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হয়েছে বিভিন্ন শহরে।

পেগিডার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতাকে উস্কানি দিচ্ছে।

ড্রেসডেন শহরে পেগিডার বিরুদ্ধেও পাল্টা সমাবেশ হয়েছে, যাতে অংশ নিয়েছে তিন হাজারের মতো মানুষ।

পুলিশ বলছে, পেগিডার কয়েকশোর সমর্থক রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভ করতে চাইলে পাঁচ হাজারের মতো সাধারণ মানুষ তাদেরকে থামিয়ে দিয়েছে।

শহরের যেসব সড়ক দিয়ে পেগিডা সমর্থকদের মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিলো, সেসব সড়কে তাদেরকে আটকে দেয়া হয়।

বার্লিন ছাড়াও পেগিডার বিরুদ্ধে সমাবেশ হয়েছে কোলনে।

কোলনে স্থানীয় লোকজনের বিরোধিতার কারণে ইসলামীকরণ-বিরোধী সমাবেশ বাতিল করতে হয়েছে।

পেগিডা বর্ণবাদ ছড়াচ্ছে এই বক্তব্য দিয়ে শহরের প্রাচীনতম একটি গির্জার আলোও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

রাজধানী বার্লিনে পেগিডাবিরোধীদের একাংশ
এই গির্জার পাশাপাশি শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং রাইন নদীর ওপর বিভিন্ন সেতুতেও লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় শহরটি একরকম অন্ধকারের মধ্যেই ডুবে ছিলো।

জার্মান নীতিকর্মও পেগিডা আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

এর আগে নববর্ষের বানীতে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেল মের্কেল ইসলামবিরোধী এধরনের আন্দোলনের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছেন, পেগিডার নেতারা মানুষের মনে ঘৃণা রোপন করছে।

জার্মানি প্রচুর সংখ্যক রাজনৈতিক শরণার্থী ও উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়ে থাকে।

এদের বেশিরভাগই যুদ্ধবিধ্স্ত সিরিয়া থেকে এসেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতেই সবচে বেশি রাজনৈতিক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়।