ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:১৮:৫৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

কলকাতায় ইসকনের রথের রশিতে টান মুখ্যমন্ত্রীর

| ৬ শ্রাবণ ১৪২২ | Tuesday, July 21, 2015

মহাধুমধাম করে রথযাত্রা পালিত হল কলকাতায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও রথযাত্রা পালিত হল বিপুল উৎসাহে। ছেলে–বুড়ো সবাই অংশ নিল উৎসবে। শনিবার ইস্কনের রথের রশিতে টান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি রথযাত্রার সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন  ইসকনের অন্যতম আচার্য্য ও গুরু দ্বয় শ্রীল জয় পতকা স্বামী মহারাজ ও শ্রীল ভক্তিচারু  স্বামী মহারাজ,সাংসদ দেব, কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক প্রমুখ। কলকাতার বেশ কিছু বনেদি বাড়ির সদস্যরাও রথযাত্রার আয়োজন করেছিল। সকাল থেকেই ছিল সাজো–সাজো রব। শহর থেকে শহরতলিতে রথযাত্রা দেখতে ঢল নেমেছিল মানুষের। ছোটদেরই উৎসাহ বেশি— নিজেদের রথকে সাজিয়ে–গুছিয়ে রাস্তায় নামানো।

রথের দিন অনেকে নতুন ব্যবসা শুরু করেন। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ ইস্কনের মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ইস্কনের আধিকারিকেরা। রথের ওপর চড়ে তিনি বিগ্রহে আরতি করেন। পরে তাঁর হাতে একটি কর্পূর–দেওয়া নারকেল দেন ইস্কনের পুরোহিতেরা। সেটি জ্বালানো হয়। এবার ওই নারকেল দিয়ে আরাধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

নারকেল ফাটিয়ে ফুল ও ঘট থেকে জল ছিটিয়ে রথের রশিতে টান দিয়ে সূচনা করেন রথযাত্রার। সেখানকার পুরোহিতেরা তাঁকে সবুজ রঙের একটি স্কার্ফ তুলে দেন। সেটি নিজের হাতে বেঁধে নেন মু্খ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ তিনি সেখানে ছিলেন।

এদিন থেকে অনেক বারোয়ারি এবং বাড়ির দুর্গাপুজোর কাজ শুরু হয়ে গেল। ইস্কনের পাশাপাশি কলকাতার বহু বনেদি বাড়ি থেকে বেরল রথ— বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরির বাড়ি, ঠনঠনিয়ার রাজবাটি, রাজেন্দ্র মল্লিকের বাড়ি (মার্বেল প্যালেস), বেহালার সোনার দুর্গাবাড়ি, বৌবাজারের হেম দে–র বাড়ি। মার্বেল প্যালেসে রথ উপলক্ষে মেলা বসেছিল।

রথ ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। দুপুরের পর বেলগাছিয়া, মুরারিপুকুর, দেশবন্ধু পার্ক, ঠাকুরপুকুরে রথ বের হয়। বাহারি পাতা, রঙবেরঙের কাগজ নিয়ে সাজিয়ে ছোটরা পথে হাজির নিজেদের রথ নিয়ে। রথের ভেতরে থাকা জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা যাতে গড়াগড়ি না খান, সেজন্য বাড়তি পরিশ্রমও করতে হল। রথযাত্রা উপলক্ষে কলকাতার নানান জায়গায় বসে মেলা। ভাজাভুজির এলাহি আয়োজন। আর বাঁশি, ভেঁপুর শব্দে তো কান পাতা দায়! হাতিবাগানের মাধববাড়ির রথ দেখতে জড়ো হয়েছিলেন আশপাশের বহু মানুষ। মেলা বসেছিল মৌলালি, বেলেঘাটা, কাশীপুরের খগেন চ্যাটার্জি স্ট্রিট, শোভাবাজার, ভবানীপুর, রাসবিহারী, নাগেরবাজার, ঢাকুরিয়া, ঠাকুরপুকুরে। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কেও মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। রথ টানলেন প্রবীণারা। সঙ্গে প্রবীণেরাও। সবাই অবসরপ্রাপ্ত। কেউ ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কেউ–বা ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ওঁরা গড়ে তুলেছেন ‘প্রবীণ সাথী’। সদস্য ৩৫ জন। সদস্যরা রথ টানলেন টালিগঞ্জ ফাঁড়ির শান্তিপল্লী থেকে টালিগঞ্জ পোস্ট অফিস পর্যন্ত। মূল উদ্যোগ স্টেট ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার শঙ্কর ব্যানার্জির। কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ‍্যোধ্যায়ের স্ত্রীও এঁদের সঙ্গে আছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, হইচইয়ের জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে রথযাত্রাকে, জানালেন ওঁরা।