ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:৩৪:১০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ইন্টারনেটে প্রভাবশালী মোদি: টাইম

| ২৩ ফাল্গুন ১৪২১ | Saturday, March 7, 2015

ইন্টারনেটে সবথেকে বেশি প্রভাবশালী সারা বিশ্বের প্রথম ৩০ জন ব্যক্তির তালিকায় জায়গা পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশ্লিষ্ট সমীক্ষাটি চালিয়েছিল আমেরিকার প্রখ্যাত পত্রিকা টাইম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কতজন অনুসরণকারী বা ফলোয়ার রয়েছে, কাদের ওয়েবসাইট মানুষ প্রায়ই দেখেন অথবা ইন্টারনেটে কাদের কার্যকলাপ বিভিন্ন ভাবে সাড়া জাগাতে বা খবর তৈরি করতে পেরেছে- এ রকম বহু বিষয় বিশ্লেষণ করে এই ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত হ্যারি পটার সিরিজের স্রষ্টা ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং, গায়িকা টেলর সুইফ্ট ও বিয়ন্সেও রয়েছেন তাদের মধ্যে।

টাইম জানাচ্ছে, ফেসবুক ও টুইটার মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছেন, যা বারাক ওবামা ছাড়া অন্য যে কোনও রাষ্ট্রনেতার তুলনায় বেশি। টাইমের ওয়েবপেজে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আরও লেখা হয়েছে, মোদির সমসাময়িক বহু মানুষের সঙ্গে তার পার্থক্য এখানেই যে, দেশের যে ২০ কোটি জনতা নিয়মিত ইন্টারনেট ঘাঁটেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার অমূল্য গুরুত্ব তিনি স্বীকার করেন। তা ছাড়া, এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বারাক ওবামার ভারতে আসার আগাম ঘোষণা টুইটারেই করেছিলেন মোদি। সংবাদমাধ্যমের চিরাচরিত পন্থাগুলিকে পাশ কাটিয়ে এই ভাবে খবরটি জনসাধারণকে জানানোর জন্য মোদির প্রশংসা করেছে টাইম।

সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটির মতে, সোশ্যাল মিডিয়া যে ক্ষমতা দেয়, তার সাহায্যে যে কেউ বর্তমানে বিশ্বজনীন আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিতে পারেন। সেখানে লেখা হয়েছে, হ্যাঁ, এটি বাস্তব জীবনেও বিখ্যাত হতে সাহায্য করে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের উত্থানের ফলে জনসাধারণকে প্রভাবিত করার প্রতিযোগিতায় সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে, যেখানে বহু অপরিচিত ব্যক্তিও বাস্তবের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছেন- এমনকী আকস্মিক ভাবেও।

পাশাপাশি টাইম জানাচ্ছে, রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ফেসবুকে সবথেকে বেশি লাইক এবং টুইটারে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ফলোয়ার কিন্তু ওবামার ঝুলিতেই রয়েছে। পত্রিকাটির মন্তব্য, আরও চিত্তাকর্ষক ব্যাপার হরো, কোনো বিষয়কে সামনে আনার জন্য ওবামা ইন্টারনেটে নিজের মেমে (meme, অর্থাৎ হাস্যরসাত্মক ছবি, ভিডিও বা লেখা) ব্যবহারেও পিছু হঠেন না। উল্লেখ্য, অনলাইন সংবাদসংস্থা বাজফিড-এর হয়ে একটি ভিডিওতে অ্যাফরডেব্ল কেয়ার আইনে স্বাস্থ্যবিমা করানোর জন্য তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ওবামা। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছিল।

টাইমের তৈরি তালিকাটিতে মডেল কিম কার্দাশিয়ান, গায়ক জাস্টিন বেভার, অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রো, ইয়াও চেন, গায়িকা শাকিরা, জনপ্রিয় ব্লগ ‘হিউম্যান্স অফ নিউ ইয়র্ক’-এর চিত্রসাংবাদিক ব্র্যান্ডন স্ট্যানন এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জিমি ফ্যালন-ও রয়েছেন।
সূত্র: পিটিআই,কালের কণ্ঠ অনলাইন