ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:২৯:০১

আরথ্রাইটিসের চিকিৎসায় করণীয়

| ২৭ আশ্বিন ১৪২৪ | Thursday, October 12, 2017

 

গাঁটে প্রদাহের সমস্যা হলো আরথ্রাইটিস। আরথ্রাইটিস বিভিন্ন রকম হয়। বিভিন্ন আরথ্রাইটিসে বিভিন্ন রকম চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম মতিউর রহমান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : একিউট (হঠাৎ) ও ক্রনিক ( দীর্ঘস্থায়ী) আরথ্রাইটিসের ক্ষেত্রে কোন কোন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন?

উত্তর : একিউট আরথ্রাইটিসের কারণ তো সহজ। হঠাৎ করে জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার সমস্যা। এর জন্য প্রথম জয়েন্টের বিশ্রামের দরকার। হট অথবা কোল্ড ওয়াটার থেরাপি দিতে হবে। এরপর ব্যথার ওষুধ। আর যদি সেপটিক আরথ্রাইটিস হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি দেওয়া লাগবে। আর যদি গাউটি আরথ্রাইটিস হয়, তাহলে ব্যথার ওষুধের পরে কনসিসিন নামক ওষুধ দিতে হয়। আর ভাইরাল ইনফেকশনে সাধারণত প্যারাসিটামল অথবা সাতদিন পর অন্যান্য একটু ব্যথার ওষুধ দিলেই, ভালো হয়ে যায়। আর ক্রনিক আরথ্রাইটিস তো দীর্ঘস্থায়ী আরথ্রাইটিস। এর জন্য প্রথম রোগীকে শিক্ষা দিতে হবে। তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে কতদিন স্থায়ী হতে পারে। কী কী করা উচিত। ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম এগুলো সম্পর্কে বলতে হবে। জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথার ওষুধ দিতে হবে। আর যেন প্যাপটিক আলসার না হয়, সেই জন্য অবশ্যই ওমিপ্রাজল দিতে হবে।

প্রশ্ন : এই দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার ওষুধটা তার কোনো ক্ষতি করে কী?

উত্তর : এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর জন্য রোগীকে নিয়মিত ফলোআপের কথা বলা হয়। লিভারের  কার্যক্রম, কিডনি কার্যক্রম পরীক্ষা করতে বলা হয়। পাশাপাশি এসিডিটি হয় কি না সেটি দেখতে বলা হয়। আর সব শেষ হলো ডিজিজ মোডিফাইং এজেন্ট। এগুলো দিতেই হবে।

প্রশ্ন : ডিজিজ মোডিফাইং এজেন্ট কী?

উত্তর : এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো রোগের তীব্রতাকে কমিয়ে দিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে। আবার কেউ কেউ ভালোও হয়ে যায়।

আরথ্রাইটিসের চিকিৎসায় অনেক সময় স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন দেওয়া হয়। আর সিস্টেমিক চিকিৎসা তার সঙ্গে চলতে থাকবে।