ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ২৩:২৮:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

আপনিও অভিযোগ করতে পারেন সংসদের ‘পিটিশন কমিটি’র কাছে

| ৬ আশ্বিন ১৪২২ | Monday, September 21, 2015

জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ কমিটির মধ্যে অন্যতম একটি কমিটি হচ্ছে পিটিশন কমিটি। এই কমিটির কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন।

জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি থেকে জানা গেছে, গেজেটে প্রকাশিত বা সংসদে উত্থাপিত বিল, সংসদের অনিষ্পন্ন কার্য সম্পর্কিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা জনগুরুত্বপূর্ণ যেকোনো বিষয় সম্পর্কে পিটিশন কমিটির কাছে অভিযোগ দাখিল করতে হয়।

তবে আইন-আদালতে বিচারাধীন বা তদন্তাধীন, আইন কিংবা প্রচলিত বিধি-বিধান দ্বারা সমাধান করা যায়, যে বিষয় প্রস্তাবের মাধ্যমে সংসদে উত্থাপন করা যায়, যে বিষয়ে সংযূক্ত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় হতে পারে এমন বিষয়ে আনীত পিটিশন কমিটিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

পিটিশন দাখিলের সময় প্রত্যেকটি পিটিশন ভদ্র, সুরুচিসম্পন্ন ও সংযত ভাষায় লিখতে হবে, প্রত্যেক স্বাক্ষরকারীর পূর্ণ নাম ও ঠিকানা পিটিশনে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তাদের স্বাক্ষর এবং নিরক্ষর হলে টিপসই দিয়ে তা প্রমাণিত করতে হবে। এছাড়া পেশকৃত প্রত্যেকটি পিটিশনে জাতীয় সংসদের যে কোন সংসদ সদসের প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে। তবে সংসদ সদস্যরা নিজের পক্ষ থেকে কোন পিটিশন পেশ করতে পারবেন না।

সংসদে পিটিশন পেশ করার জন্য কার্যপ্রণালী বিধির ১০২ বিধিতে একটি নির্ধারিত ফরম আছে। ওই ফরম অনুসরণ করে পিটিশন পেশ করতে হবে।

সংবিধানের ৮১ অনুচ্ছেদের ১ দফার (ক) হতে (ঙ) উপ-দফার লিপিবদ্ধ বিষয় অথবা সংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় হতে পারে এমন কোন বিষয়ে সম্বলিত কোন পিটিশন রাষ্ট্রপতির সুপারিশ ব্যতীত সংসদে পেশ করা যাবে না।

পিটিশন ফর্মে কিংবা সংযুক্ত পৃথক কাগজে কোর্ট ফি কিংবা কোন প্রকার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে না। আবেদনের নমুনা ফরম হাতে লিখে কিংবা জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যাবে।

বর্তমান ১০ সদস্যবিশিষ্ট পিটিশন কমিটির সভাপতি স্পিকার ড শিরিন শারমিন চৌধুরী। আর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- ডেপুটি স্পিকার মো ফজলে রাব্বি মিয়া, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুস শহীদ, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, সাবের হোসেন চৌধুরী, শেখ মো. নুরুল হক, ড মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মইন উদ্দীন খান বাদল।

পিটিশন কমিটি সম্পর্কে স্পিকার ড শিরিন শারমিন চৌধুরী রোববার প্রিয়.কমকে বলেন, জনগণের সাথে সংসদের মেলবন্ধনের জন্য পিটিশন কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

পিটিশন কমিটির কাছে অভিযোগ ও কমিটির ব্যবস্থা নেওয়ার একটি উদাহরণ
৫ম জাতীয় সংসদের পিটিশন কমিটির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে দেশে বিষাক্ত ডাই-ইথিলিন মিশ্রিত প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের পর অগণিত শিশু মৃত্যুর এমন একটি-ভয়াবহ সংবাদ জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পিকার বিষয়টিকে জরুরি গণগুরুত্বসম্পন্ন বিবেচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য পিটিশন কমিটিতে বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেন। পিটিশন কমিটি বিষয়টিকে বিবেচনা করে তা পিটিশন আকারে গ্রহণ করে এবং কমিটির সদস্য ও তৎকালীন গাইবান্ধা-৫ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি পিটিশনটিতে প্রতিস্বাক্ষর করে ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তা সংসদের বৈঠকে উপস্থাপন করলে পিটিশনটি কমিটিতে প্রেরিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিশন কমিটিতে প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যুর কারণে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কমিটি দেশের বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির উৎপাদিত সকল ব্রান্ডের সিরাপ এক মাসের মধ্যে পরিক্ষা করার জন্য ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং প্রতি ১০ দিন অন্তর তাদের কাজের অগ্রগরি সম্পর্কে পিটিশন কমিটিকে অবহিত করবেন। এছাড়া এই কমিটি বিষাক্ত সিরাপ সেবন করে শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মামলা দায়ের করার সুপারিশ করে।