ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০৫:০৮:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬তম বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে : ওবায়দুল কাদের

আটক হতে পারেন খালেদা

| ৬ মাঘ ১৪২১ | Monday, January 19, 2015

 

 


ঢাকা: সহিংসতা বন্ধ না করলে আগামী ২২ জানুয়ারির পর যে কোনো সময় আটক করা হতে পারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ।চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে এবং সহিংস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার হার্ডলাইনে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিরো টলারেন্সে থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার এইসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তবে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলে খালেদা জিয়াকে আটকের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে সরকার।এই কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য আজ থেকে দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে তালিকা অনুযায়ী আটক করা হবে মাঠে সক্রিয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও পৃথক তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার।

সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

ঢাকায় বিএনপি সমর্থক বেশির ভাগ কাউন্সিলর আটক হতে পারেন। এ জন্য গুলশান, লালবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের কয়েকজন কাউন্সিলরের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ঢাকায় যৌথ অভিযানের প্রথম পর্যায়েই তারা আটক হবেন। এদিকে, বিএনপি চেয়াপারসনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলতে থাকা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও দ্রুত শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ মামলার সব আইনি দিক খতিয়ে দেখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলেও এ মুহূর্তে সারা দেশ অচল, জ্বালাও-পোড়াও এবং পুড়িয়ে মানুষ মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাতদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। জনজীবন স্বাভাবিক ধারায় চলে আসবে।’

অন্যদিকে, বিএনপির নীতি-নির্ধারক সূত্রগুলো বলছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা বিএনপিতেও আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আন্দোলন কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কোনো কারণে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে পরে কারা দলীয় কার্যক্রমের নির্দেশনার দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্টদের এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রয়োজনীয় বার্তাও বেগম জিয়া পাঠিয়েছেন। দলের প্রবীণ একাধিক নেতার সঙ্গে এ নিয়ে তার কথাবার্তা হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা গ্রেফতার হলে ‘চেইন অব কমান্ড’ ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি প্রধান। সিনিয়র নেতারা গ্রেফতার হলে মধ্যম সারির নেতারা মূল নেতৃত্বে চলে আসবেন। আবার মধ্যম সারির নেতারা গ্রেফতার হলে জুনিয়র ও তৃণমূল নেতারাই দলের হাল ধরবেন। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার হলেও দলের চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চলবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হবে। তবে সরকার যদি মনে করে, বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করলেই আন্দোলন ভেস্তে যাবে, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আন্দোলন পর্যায়ক্রমে আরও কঠোরতার দিকেই যাবে।’সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন