ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৩৩:৩৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

আকাশে আরেক পৃথিবী, নাম কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি

| ১০ শ্রাবণ ১৪২২ | Saturday, July 25, 2015

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ,Saturday, 25 July 2015 07:41 PM

নয়াদিল্লি: আরেক পৃথিবী। অন্য সৌরজগৎ। দ্বিতীয় সূর্য। স্বপ্ন বলে মনে হলেও, আদতে ঘটছে বাস্তবেই। নাসার শক্তিশালী কেপলার টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে চমকে দেওয়া ছবি। প্রায় পৃথিবীর মতোই আরেক গ্রহের সন্ধান মিলেছে দূর মহাকাশে। নাম কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি।

পৃথিবীর থেকে কেপলার ফোর ফিফটি টু বি-র দূরত্ব চোদ্দশ আলোকবর্ষ। এই গ্রহে কি প্রাণ আছে? এখনই উত্তর দেওয়া সম্ভব না হলেও, এটুকু বলা যায় জীবনধারণের প্রয়োজনীয় জল মাটিতে থাকার জন্য সূর্যের থেকে কোনও গ্রহের যতটা দূরত্ব থাকা উচিত, ঠিক ততটাই দূরত্বে আছে কেপলার ফোর ফিফটি টু বি। এই গ্রহের সন্ধানে নাসার বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে রীতিমতো আদা-জল খেয়ে নেমেছেন।

নাসার কেপলার মিশন শুরু হয় ২০০৯ সালে। উদ্দেশ্য ছিল, ছায়াপথে সন্ধান চালিয়ে বাসযোগ্য গ্রহ খুঁজে বার করা। এখনও পর্যন্ত কেপলার এক হাজারেরও বেশি গ্রহ খুঁজে বার করেছে। তার মধ্যে কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি সহ ১২টি গ্রহের আকার পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।

নাসা অবশ্য গ্রহ-সন্ধান অভিযান এখানেই থামাতে চায় না। ২০১৭ সালে তারা ফের টেস  নামে একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রহের আকার ও আবহাওয়া সম্পর্কে আরও খুঁটিনাটি তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে।

নাসার বিজ্ঞানীদের অনেকে যাকে রসিকতা করে পৃথিবীর তুতো ভাই বলেও ডাকছেন। কিন্তু, কেন? কোন কোন বৈশিষ্ট্যে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এই গ্রহ?

  • পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যতটা, সদ্য চোখে পড়া কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি-র থেকে তার সূর্যের দূরত্বও প্রায় ততটাই।
  • জীবনধারণের প্রয়োজনীয় জল থাকার জন্য সূর্যের থেকে কোনও গ্রহের যতটা দূরত্ব থাকা উচিত, ঠিক ততটাই দূরত্বে আছে কেপলার ফোর ফিফটি টু বি।
  • তবে নয়া আবিষ্কৃত এই গ্রহের সূর্য বয়সে পৃথিবীর সূর্যের তুলনায় প্রবীণ। তার উজ্জ্বলতাও পৃথিবীর সূর্যের থেকে অন্তত দশ শতাংশ বেশি। ফলে তাপও বেশির দিকে।
  • পৃথিবী যেখানে সূর্যের চারদিকে একপাক ঘুরতে ৩৬৫ দিন সময় লাগে, সেখানে নিজের সূর্যের চারদিকে একপাক ঘুরতে কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি নেয় ৩৮৫ দিন। অর্থাৎ নতুন গ্রহে ৩৮৫ দিনে এক বছর।
  • কেপলার ফোর ফিফটি টু-বি-র মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও পৃথিবীর দ্বিগুণ।

নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, আজ থেকে অনেক কোটি বছর পর পৃথিবীর যা চেহারা হবে কেপলার ফোর ফিফটি টু বি এখন সেই স্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই প্রথম নয়। নাসার বিজ্ঞানীরা আগেও পৃথিবীর মতো গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, কেপলার ওয়ান এইট্টি সিক্স-এফ নামে একটি গ্রহের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, যা একাধিক বৈশিষ্ট্যে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি ছিল।

পৃথিবী থেকে সেই গ্রহের দূরত্ব ছিল ৫০০ আলোকবর্ষ। তবে পৃথিবী সূর্য থেকে যতটা শক্তি নেয়, কেপলার ওয়ান এইট্টি সিক্স-এফ নিজের সূর্য থেকে তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ শক্তি পেত। আবহাওয়ার দিক থেকে আবার পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহের কিছুটা ফারাক ছিল। কেপলার ওয়ান এইট্টি সিক্স-এফ গ্রহের দুপুরের পরিবেশ পৃথিবীর সন্ধের মতো।