ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:০২:৪০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

অস্ট্রেলিয়ার সামনে মাত্র ৮৬ রানের লক্ষ্য

| ২৩ ভাদ্র ১৪২৪ | Thursday, September 7, 2017

 

প্রথম টেস্টটা জয়ের পর হোয়াইটওয়াশ শব্দটা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া তো আর যেনতেন দল নয়। চাইলেই তো আর ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া দলটাকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় টেস্টে বীরদর্পে ঘুরে দাঁড়ায় স্টিভেন স্মিথের দল। সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র ৮৬ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩০৫ রানের জবাবে ৩৭৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৭ । ফলে জয়ের জন্য অসিদের চাই ৮৬ রান।

আজ তৃতীয় দিন সকালে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটাকে খুব একটা বাড়তে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। নাথান লায়নকে ফিরিয়ে দিয়ে সফরকারীদের ইনিংসটাকে ৩৭৭ রানেই থামিয়ে দেন কাটার মাস্টার। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩০৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ৭২ রানের লিড দাঁড়ায়। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ফিরে যান সৌম্য সরকার। প্যাট কামিন্সের বলে ম্যাট রেনশকে ক্যাচ দেন টাইগার ওপেনার। পুরো সিরিজেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সৌম্য। ঢাকায় দুই ইনিংস মিলে ২৩ রান করার পর চট্টগ্রামে দুই ইনিংস মিলে মাত্র ৪২ রান করলেন তিনি।

সৌম্য ফেরার পর  তামিম-ইমরুল মিলে ইনিংসটাকে মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে দলীয় ৩২ রানে নাথান লায়নের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১২ রান করেন তামিম।

তামিমের পর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। লায়নের লাফিয়ে উঠা বলটা সামলাতে পারেননি তিনি। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাক্সওয়েল ক্যাচটি লুফিয়ে নেন।

এরপর সাকিব আল হাসানকে ওয়ার্নারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লায়ন। মাত্র ২ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর নাসির হোসেন ফিরলে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক শিবির।

দলের বিপদে এগিয়ে আসেন সাব্বির রহমান ও মুশফিক। ৫৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন তাঁরা। তবে এবারও বাংলাদেশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান নাথান লায়ন। সাব্বিরকে ফিরিয়ে দেন এই অসি স্পিনার। ২৪ রান করেন সাব্বির।

সাব্বির ফেরার পর মুমিনুলকে নিয়ে আরেকবার জুটি বাধার চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। তবে শেষতক সফর হতে পারেননি তিনি। দলীয় ১২৯ রানে কামিন্সের বলে উইকেটরক্ষক ওয়েডের গ্লাভসে ধরা পড়েন মুশি। ৩১ রান করেন টাইগার দলপতি।

মুশফিকে ফেরার পর রান তোলার দায়িত্বটা পড়ে যায় মুমিনুল ও মিরাজের ঘাড়ে। তবে কেউই সেভাবে সফল হতে পারেননি। ২৯ রান করে লায়নের বলে আউট হন মুমিনুল। এরপর মিরাজকেও ফেরান এই অফস্পিনার। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে ১৫৭ রানেই বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন ও’কিফ।

প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া লায়ন দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। এ ছাড়া প্যাট কামিনন্স ও ও’কিফ নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে মুশফিকের ৬৮, সাব্বির রহমানের ৬৬ ও নাসির হোসেনের ৪৫ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করেছে বাংলাদেশ। অসি বোলারদের মধ্যে নাথান লায়ন একাই নেন সাত উইকেট। ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৩ ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের ৮২ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৭৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।