ঢাকা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৪১:০৬

অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সহায়তা পাচ্ছে

| ৬ মাঘ ১৪২৪ | Friday, January 19, 2018

ঢাকা : বাংলাদেশকে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় সহয়তা দিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি সংস্থা পাঁচ বছর মেয়াদি একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
ক্যামব্রিজ প্রোগ্রাম টু এসিস্ট বাংলাদেশ ইন লাইফস্টাইল এন্ড এনভাইরন্টাল রিস্ক রিডাকশন (সিএপিএবিএলইআরআরআর) শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় এ সহায়তা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাসস’কে বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় একটি পাচঁ বছর মেয়াদি প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে-ব্যাধির ঝুঁকির সামাজিক, আচরণগত ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ নিরূপণ করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্পটি গবেষণার নতুন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করবে এবং স্বাস্থ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করবে।’
আগামী ২৩ জানুয়ারি নগরীর রেডিসন ব্লু-হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, দি ইউনিভার্সিটি কোর্ট অব দি ইউনিভার্সিটি আবারডিন এবং বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ), ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষনা ও নিরাময় কেন্দ্র (আইসিডিডিআর, বি) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনএইচএঅএইচএন্ডআরআই) এ প্রকল্পে কাজ করবে।
স্বাস্থ্য সেবার মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় এর আগে সমন্বিতভাবে বিবেচনা করা হয়নি এমন কিছু সামাজিক, আচরণগত ও পরিবেশগত পরস্পর সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর দৃষ্টি দিয়ে এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে।’
অইইডিসিআর-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বাসস’কে বলেন, ‘এ প্রকল্প একটি গ্রহণযোগ্য, কার্য়কর ও ব্যায়-সাশ্রয়ী উপায়ে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় পরিবেশ ও জীবনযাত্রার ওপর বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে এমন বিষয়ের ক্ষেত্রে কার্য়কর ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ মূল্যায়ন করবে।’
সিএপিএবিএলই কর্মসূচির বৈজ্ঞানিক পরিচালক ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের জনস্বাস্থ্যও প্রাথমিক সেবার ডা. রাজীব চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় পরিবেশ ও জীবনযাত্রার প্রধান ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহজ ও কার্যকর সমাধান বের করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করা।
এ প্রকল্পের জন্য বস্তি এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেএক লাখ লোক নিয়োগ করা হবে। প্রকৌশলী, সমাজতাত্ত্বিক স্বাস্থ্য গবেষক ও আরো অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এদের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রয়োগের আগে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপসমূহ পরীক্ষার জন্য একটি মডেল তৈরির চেষ্টা করবেন।