ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:৩২:৪৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

অর্পিত সম্পত্তি আইন হিন্দুদের আশীর্বাদ না অভিশাপ !

| ২ আষাঢ় ১৪২২ | Tuesday, June 16, 2015

 

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার আর দেশত্যাগে বাধ্য করার মুল হাতিয়ারই হচ্ছে  সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন। যার বাস্তবে কোন ব্যবহার নাই বরং  এটা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে সাহায্য করছে ।

দেশের কোন নাগরিক  আমেরিকা, কানাডায়, এমনকি পাকিস্তানেও চলে গেলে সেই সম্পত্তি তারই থাকে বা তার উত্তরাধিকাররা তা ভোগ দখল করে বিনাপ্রশ্নে, বীরদর্পে। আর যদি একজন হিন্দু ভারতে চলে যায়, তাহলে তার সম্পত্তি হয়ে যায় ‘শত্রু সম্পত্তি’ একটু ভাল ভাষায় বলা হয় ‘অর্পিত সম্পত্তি’; মানে ঘাড়ের নাম গর্দান! আর তার সব আত্মীয়-স্বজন থাকে আতংকে, জমি বাসস্থান হারানোর ভয়ে।এছাড়াও আছে চাঁদাবাজি; এক্ষেত্রে বক্তব্য এমন, “তোর ভাই/ কাকা ইন্ডিয়া চলে গেছে, এর জন্য তুঁইই দায়ী, নে এবার টাকা দে! না দিলে কিন্তু …… ?”

এছাড়াও যেটা সবচেয়ে ভয়ংকর, সেটা হল, যে গেছে তার সাথে সাথে বাংলাদেশে বসবাসরত তার ভাই, আত্মীয়-স্বজনদেরও সম্পত্তিও অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে কাগজ কলমে লিখে দেওয়া হয় শয়তানী করে তাদের অজান্তে। এর সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জড়িত থাকে ভূমি অফিসের/ মাঠ জরিপকারী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও সেই জমির আশেপাশের প্রতিবেশীরা। মাঠ জরিপের সময় জমির মালিকের ‘হিন্দু নাম’ দেখেই শুধু একবার “ভারতবাসী” লিখে দিলেই হল, সারাজীবনের জন্য কেল্লাফতে! আর সেটা একবার লেখা হয়ে গেলে হয়রানী চলে যুগের পর যুগ, যা এখনো বর্তমান, কোন সমাধান ছাড়াই এই অত্যাচার চলছে হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর গত ৪২ বছর ধরে  ।

বিভিন্ন প্রক্রিয়াই এই দখল কার্যক্রম চলে - সেই জমির খাজনা নেওয়া হবে না, বিক্রি করতে পারা যায় না, এমনকি উত্তরাধিকারীদেরও নামেও দলিল করে দেওয়া যায় না। শুধুমাত্র ভোগ দখল করা যায়। সেক্ষেত্রে পড়শি কেউ যদি সেই সম্পত্তি দখলে নেয় বা জাল দলিল করে নেয় বা সরকার থেকে লীজ নিয়ে নেয় তাহলেই গেছে। পুড়ো সম্পত্তি হাতছাড়া।

আর মামলা করলে আর যুগের পর যুগ মামলা লড়ে নাছোড়বান্দা আর  কেউ যদি জিতেও যায় , সেক্ষেত্রেও সেই সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে হয় জলের দামে সেই দখলকারীদের কাছেই।

শুধু এই আইনের প্যাঁচে ফেলেই লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবারকে নিজ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, ক্ষেত্র বিশেষে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে এবং অনেক দাঙ্গা হাঙ্গামার কারণও এই আইন।

অনেকেই বলবেন, এই আইন এখন আর কার্যকর নেই। একটু ভূমি অফিসে গেলেই জানা যায় এ রকম অনেক তথ্য ।