নিউজ ডেস্ক :: বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় গ্রেপ্তার ব্রিটিশ বাংলাদেশি মো. তৌহিদুর রহমানসহ দুজনকে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তৌহিদুরের সঙ্গে ওই মামলার আসামি আমিনুল মল্লিককে মঙ্গলবার সিলেট মহানগর হাকিম সাহেদুল করিমের আদালতে হাজির করে অনন্ত হত্যায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে অনন্ত হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, আরিফুল ইসলাম, জাকির প্রকাশ ও সাদেক আলিমকে গত ৩ সেপ্টেম্বর অনন্ত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল সিআইডি। এর প্রেক্ষিতে সোমবার ৫ জনকে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও অনন্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী। পরে বিচারক সাহেদুল করিম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এই পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনের ওপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
গত ১২ মে সকালে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে নিজ বাসার সামনে অনন্তকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অনন্ত মুক্তমনা ও সামহোয়্যার ইন ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও সক্রিয় ছিলেন। সিলেটের গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীরা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে এ অভিযোগ অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় গত শুক্রবার ভোরে কানাইঘাট উপজেলা পূর্ব পালজুর গ্রাম থেকে মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী (২৪) ও মোহাইমিন নোমান ওরফে এ এ নোমান (২২) নামের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
মান্নান রাহী গত ২ সেপ্টেম্বর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাহী ধর্ম নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করার কারণেই অনন্তকে হত্যা করেন বলে উল্লেখ করেন। ওই দিনই কানাইঘাটের পালজুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের ওরফে রশীদ আহমদ (২৪) নামের এক তরুণকে সিলেট নগরের জালালাবাদ থানা এলাকার টুকেরবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর নোমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।