ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৪৯:৩৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে : স্পিকার

| ৩ শ্রাবণ ১৪২৫ | Wednesday, July 18, 2018

ঢাকা : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।
স্পিকার মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডস-এর হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) আয়োজিত ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
আজ সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্পিকার এ সময় আরো বলেন, এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয় বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনালগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমার কর্তৃক একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
তিনি বলেন, এখন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’ র কাছে বলপূর্বক রোহিংগাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভূক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসির প্রি- ট্রায়াল চেম্বার-১-এ উপস্থাপন করেছে। আইসিসি’র ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সব সময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট মি. ও-গোঁ কোয়ান আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা বক্তব্য রাখেন।