ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:০৮:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু, দুই চিকিৎসককে আসামি করে মামলা

| ২০ শ্রাবণ ১৪২৪ | Friday, August 4, 2017

 

শরীয়তপুরে ‘ভুল চিকিৎসা’য় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও এক নার্সকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নিহতের স্বামী মিলন তালুকদার বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলাটি করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দাউদ মিয়া, এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুস সোবহান। আরেক আসামি নার্সের নাম জানা যায়নি।

এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মল চন্দ্র দাস এ ঘটনা তদন্তে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনির আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করেছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সাজেদা, সৈয়দা সাহিনুর নাজিয়া ও এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. রফিকুল ইসলাম। কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

শরীয়তপুর পৌর এলাকার তুলাসার বেপারীপাড়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা রুমা আক্তারকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার চৌরঙ্গী মোড়সংলগ্ন শরীয়তপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাঁকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি হিসেবে অজ্ঞান করার জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে জানান রোগীর স্বজনরা। এরপর রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর অপারেশন থিয়েটারে রুমা আক্তার মারা যান।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ, ডা. দাউদ মিয়া মূলত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। এর আগে তাঁর হাতে অস্ত্রোপচারের সময় কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রসূতি রোগীর অপারেশন করার কোনো বিধান নেই। তারপরও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি ক্লিনিকে এই বেআইনি কাজটি করে চলছেন।

এদিকে, মামলার পর থেকেই দুই চিকিৎসক আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।